বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪, কার্তিক ৭ ১৪৩১, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

ব্রেকিং

বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান: পদ ছাড়তে রাষ্ট্রপতিকে ২৪ ঘণ্টা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫ দফা জনগণ যেন কুয়াশার মধ্যে আছে: রিজভী নভেম্বরে সেন্টমার্টিনে রাত্রিযাপন নয়, ফেব্রুয়ারিতে যাত্রা বন্ধ বেতন না দিয়ে কারখানা বন্ধ,আশুলিয়ায় দুদিনের বিক্ষোভে ভোগান্তি চরমে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে রুল শুনানি ৩০ অক্টোবর বিশ্ব ইজতেমা আগামী জানুয়ারিতে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আন্দোলনে নিহতদের পরিবার-আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে রুল পর্যটন দ্বীপ মনপুরাকে রক্ষায় ১ হাজার ১৫ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ ‘নাশতা নিয়ে হইচই করায়’ অব্যাহতি ২৫২ জন ক্যাডেট এসআইকে নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার পথে এক ধাপ এগোল জামায়াত ব্যারিস্টার সুমন ৫ দিনের রিমান্ডে লিবিয়া থেকে ফিরলেন ১৫৭ বাংলাদেশি

পর্যটন

পর্যটন দ্বীপ মনপুরাকে রক্ষায় ১ হাজার ১৫ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ

 প্রকাশিত: ১৬:১৮, ২২ অক্টোবর ২০২৪

পর্যটন দ্বীপ মনপুরাকে রক্ষায় ১ হাজার ১৫ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ

ভোলা জেলার অন্যতম পর্যটন দ্বীপ মনপুরা । নদী ভাঙ্গনের কারনে এ দ্বীপে কমে যাচ্ছে নানা জাতের ফসলের উৎপাদন, গৃহহীন হয়ে পড়ছেন হাজার হাজার মানুষ। এ অবস্থায় মনপুরাকে রক্ষায় ১ হাজার ১৫কোটি টাকার বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

 সংশ্লিষ্ট তথ্যমতে,হাজার বছরের পুরোনো দ্বীপ মনপুরা। এক সময়ে সুন্দরবন অঞ্চলের অন্তর্ভূক্ত এ দ্বীপটি শুরু থেকেই প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি হিসেবে সুপরিচিত ছিলো। ছিলো উর্বর জমির শস্য ভান্ডার। যে কারনে চারিদিক থেকে মানুষ এসে এখানে বসতি গড়ে তোলে। শিকার হয় মগ, উলন্দাজ আর পর্তুগীজ জলদস্যুদের অত্যাচারের। পাশা-পাশি প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করেই চলে তাদের জীবন-জীবিকা।

শুরু থেকেই ঝড় ঝঞ্জা জ্বলোচ্ছাস এ অঞ্চলের মানুষদের নিত্য সঙ্গী। সত্তরের সাইক্লোন ভোলা, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ঐতিহাসিক চিত্রকর্ম "মনপুরা" এবং হালের বাংলা চলচ্চিত্র " মনপুরা" দ্বীপটিকে এনে দেয় দেশজোড়া খ্যাতি। ফলে এখানে ঢল নামে অসংখ্য পর্যটকের । কিন্তু প্রাকৃতিক দুূর্যোগ বিশেষ করে নদী ভাঙ্গনের কারনে প্রতি বছরই রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে যাওয়ায় দুর্ভোগে  পড়েন তারা। খ্যাতনামা এ দ্বীপটিতে ভাঙ্গনের প্রবণতা এতোই বেশী যে, ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে দ্বীপটির তিন ভাগের একভাগই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নিঃস্ব হয়ে পড়ছে মনপুরাবাসী। এমন বাস্তবতায় দ্বীপটিকে রক্ষা এবং পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে পানি উন্নয়ন বোর্ড বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করায় আশবাদী হয়ে উঠেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা। এলাকার হাজিরহাট মৎস্যঘাটের মাছ ব্যবসায়ী আমির হাওলাদার বলেন,বাঁধ নির্মাণ হলে মনপুরার মানুষের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হবে। অপর বাসিন্দা ঈমাম হোসেন বলেন,প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে মনপুরাবাসী নতুনভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া এক সমীক্ষানুযায়ী ১৯৭৩ সালে মনপুরার আয়তন ছিলো ১ শত ৫১ বর্গকিলোমিটার। বর্তমানে আছে ৯৯ বর্গকিলোমিটার। তবে এব্যাপারে ভোলার জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান,বাসস'কে জানিয়েছেন,গৃহীত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দ্বীপ মনপুরার নদী ভাঙ্গন বন্ধ হবে,দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা হিসেবে সাড়া জাগাবে এ জনপদ। পর্যটনের অপার  সম্ভাবনাকে সমৃদ্ধ করতেই প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ চালানো হচ্ছে । প্রকল্পের ১৯ টি প্যাকেজের দু'টির কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। বাকীগুলোর কাজও প্রক্রিয়াধীন আছে।
 
চলমান এ প্রকল্প নিয়ে কথা হয় ভোলা পাউবো ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাক উদদৌলা'র সঙ্গে তিনি বাসস'কে জানান,আগামী জুন ২০২৬ সালের মধ্যে উক্ত প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। তিনি বলেন,বাঁধ নির্মাণ কাজ সুন্দর ও সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে দ্বীপভূমি মনপুরার দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। রক্ষা পাবে মাঠ,ঘাট,ফসলী জমি। প্রতিরোধ হবে নদী ভাঙ্গন। এখানকার মানুষের জীবনযাত্রার মান আরো উন্নত হয়ে দ্বীপ মনপুরা হবে পর্যটকদের জন্য এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ লীলাভূমি।