পর্যটক ও জেলেদের জন্য সুন্দরবনের দরজা খুলছে শুক্রবার
আগামীকাল শুক্রবার থেকে উঠে যাবে সুন্দরবনে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা। তিনমাস বন্ধ থাকার পর পর্যটক ও জেলেদের জন্য খুলছে সুন্দরবনের দ্বার।
শরণখোলা রেঞ্জ সূত্র জানায়, সুন্দরবন কেন্দ্রীক বনের উপর নির্ভরশীল বরগুনার প্রায় ২ হাজার মৎস্যজীবী ও বনজীবী মানুষ আগামীকাল শুক্রবার থেকে পুনরায় জঙ্গলে ও নদীতে ঢুকবেন জীবিকার জন্য। সেই সঙ্গে পর্যটকরাও যেতে পারবেন বিশ্বের বৃহত্তম এই ম্যানগ্রোভ বনে। ইতোমধ্যে জেলেরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য।
পর্যটক আরিফুর রহমান জানিয়েছেন, সুন্দরবনের আকর্ষনীয় স্থান হচ্ছে সুপতি, কচিখালী, ডিমের চর, কটকা, বাদামতলা, টিয়ার চর, শেলার চর, দুবলার চর ও আলীবান্দাসহ বিভিন্ন এলাকা। পদ্মাসেতুর কারনে এখান থেকে কম সময় এবং কম খরচে সুন্দরবন ভ্রমনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
সুন্দরবনের কেন্দ্রীক মৎস্য আড়তদার রাসেল হাওলাদার জানান, বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল জেলে ও মৎস্যজীবীদের তিনমাস কষ্টে ও মানবেতর জীবন-যাপন করতে হয়েছে। তাই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার সাথে-সাথে বন বিভাগ থেকে পারমিট নিয়ে তারা জীবিকার অন্বেষনে ছুটে যাবেন সুন্দরবনে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যর্যন্ত তিন মাস সুন্দরবনের সব নদী-খালে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল বন বিভাগ। এই তিন মাস মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় সব ধরনের মাছ আহরণ বন্ধের পাশাপাশি পর্যটকদের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্লানিংয়ের (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছর ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের সব নদী-খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকে।
বরগুনার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ^জিত কুমার দেব জানান, মৎস্য বিভাগের সাথে সমন্বয় করে তিন মাস মাছ ধরা বন্ধ করায় সুন্দরবন সংলগ্ন নদী ও খালে প্রচুর মাছ পাওয়া যাবে।
শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান জানিয়েছেন, দীর্ঘ তিন মাস বন্ধ ছিল সুন্দরবন প্রবেশের সকল পারমিট। ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে জেলে ও পর্যটকদের জন্য পারমিট দেয়া হবে। এজন্য নির্ধারিত স্টেশনগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।