৯ এপ্রিল বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে স্টারলিংকের সেবা

ইন্টারনেট বিপ্লবের পথে বাংলাদেশ—স্টারলিংকের প্রথম লাইভ সংযোগ আসছে ৯ এপ্রিল
বাংলাদেশে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবার বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
রোববার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, স্টারলিংক এখন নন-জিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) লাইসেন্সের জন্য আবেদন করছে, যা পেলেই তারা বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গভাবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।
চৌধুরী আশিক বলেন, "লাইসেন্সের আবেদন আজই করার কথা, নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করলে আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনুমোদন দিতে চেষ্টা করব। লাইসেন্স হাতে পাওয়ার পরদিন থেকেই তারা পরিচালনায় যেতে পারবে।"
আগামী ৯ এপ্রিল রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিতব্য বিনিয়োগ সম্মেলনের তৃতীয় দিনে স্টারলিংকের পরীক্ষামূলক সেবা চালু করা হবে বলে জানান বিডা চেয়ারম্যান। ওই দিন সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা তাদের নিজস্ব ডিভাইসে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন।
এর আগে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের মধ্যে ফোনালাপের পর বাংলাদেশে স্টারলিংকের কার্যক্রম দ্রুত অগ্রসর হয়। ৯ মার্চ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, স্টারলিংকের হয়ে স্থানীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গ্রাউন্ড আর্থ স্টেশন স্থাপনসহ অবকাঠামো নির্মাণে কাজ করছে।
প্রধান উপদেষ্টা ২৯ মার্চ স্টারলিংকের বাণিজ্যিক কার্যক্রম ৯০ দিনের মধ্যে শুরু করার নির্দেশ দেন। সেদিন জানানো হয়, পরীক্ষামূলক পর্যায়ে বিদেশি গেটওয়ে ব্যবহৃত হলেও বাণিজ্যিক কার্যক্রমে এনজিএসও নীতিমালার আওতায় স্থানীয় আইআইজি ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা থাকবে।
চূড়ান্ত অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিডা চেয়ারম্যান বলেন, "তারা বিডার নিবন্ধন পেয়েছে। এনজিএসও লাইসেন্স পেলেই ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে আর কোনো বাধা থাকবে না। এরপর তাদের ডিভাইস আমদানি, পরিচালনা মডেল নির্ধারণসহ কিছু প্রস্তুতি লাগবে।"
ইলন মাস্কের সম্মেলনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে বিডা চেয়ারম্যান জানান, এ নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের পর মাস্ক একটি সরকারি পদে থাকায় তাকে বাংলাদেশে আনতে রাষ্ট্রীয় প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
সবশেষে তিনি বলেন, "ইন্টারনেট ব্যবহারের অধিকার সবার। পার্বত্য চট্টগ্রাম হোক বা প্রত্যন্ত কোনো গ্রাম, আমরা চাই সবাই যেন সহজে ইন্টারনেট সেবার আওতায় আসতে পারে। সে লক্ষ্যেই এনজিএসও নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে।"