ওমানের কাছে হেরে এএইচএফ কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

জয়ের পর ওমানের উল্লাস, হতাশায় টার্ফে বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা – এএইচএফ কাপ হকির সেমিফাইনাল, জাকার্তা।
জাকার্তায় এএইচএফ কাপ হকির সেমিফাইনালে ওমানের কাছে ৫-৪ গোলে হেরে গেছে বাংলাদেশ, ফলে এবারের আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা শেষ হয়ে গেল চারবারের শিরোপাজয়ীদের। ম্যাচ শেষে হতাশায় কেউ টার্ফে শুয়ে পড়েন, কেউ চুপচাপ বসে থাকেন—চোখেমুখে শুধুই ব্যর্থতার ছাপ। অপরদিকে জয় উদ্যাপনে মেতে ওঠে ওমানের খেলোয়াড়রা।
ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে যায় ওমান। তবে বাংলাদেশ দ্রুতই গোল শোধ করে সমতা ফেরায়। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে বাংলাদেশ ২-১ গোলে এগিয়ে গেলেও, ওমান পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়। তৃতীয় কোয়ার্টারে ওমান স্কোরলাইন করে ৪-২। বাংলাদেশ এক গোল শোধ করলেও চতুর্থ কোয়ার্টারে ওমান আরও এক গোল করে ব্যবধান বাড়ায়। শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি স্ট্রোকে একটি গোল করলেও তা যথেষ্ট ছিল না—বাংলাদেশ হেরে যায় ৫-৪ ব্যবধানে।
প্রথমে আশা করা হচ্ছিল, ফাইনালে ওমানের সঙ্গেই দেখা হবে বাংলাদেশের। ‘বি’ গ্রুপে সব ম্যাচ জিতে শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ, আর ওমান ‘এ’ গ্রুপে রানার্সআপ হয়ে সেমিতে উঠে। ২০২২ সালের ফাইনালে ওমানকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। তবে ২০২৩ সালের এশিয়ান গেমসে সেই ওমানের কাছেই হেরে অষ্টম হয়েছিল লাল-সবুজের দল।
বিগত কয়েক বছর ধরে হকিতে ওমান হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। এবার সেই চ্যালেঞ্জে হার মানতেই হলো বাংলাদেশকে। প্রস্তুতির ঘাটতি ছিল চোখে পড়ার মতো—প্রতিযোগিতায় নামার আগে কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেনি দলটি, আর্থিক সংকটের কারণে। অন্যদিকে ওমান ঘরোয়া টুর্নামেন্ট ও পাকিস্তানে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে জাকার্তায় পৌঁছায়।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন কোচ মামুন উর রশিদ, তবে বাস্তবতা ভিন্ন। ওমান আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে, আর বাংলাদেশ যেন থেমে আছে আগের জায়গাতেই।
বাংলাদেশ ১৯৯৭ ও ২০০২ সালের এএইচএফ কাপে অংশ নেয়নি। তবে এরপরের চার আসর—২০০৮, ২০১২, ২০১৬ ও ২০২২ সালে ছিল চ্যাম্পিয়ন। এবার ফাইনালের স্বপ্ন ভেঙে গেল। এখন সর্বোচ্চ লক্ষ্য হতে পারে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে জয় পাওয়া।