ইংলিশের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া

উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জশ ইংলিশের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে জয় দিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসর শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া। আজ ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে।
প্রথমে ব্যাট করে ওপেনার বেন ডাকেটের রেকর্ড সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৫১ রান করে ইংল্যান্ড। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মঞ্চে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের নজির গড়েন ডাকেট। জবাবে ইংলিশের ১২০ রানের অনবদ্য ইনিংসের সুবাদে ৪৭ দশমিক ৩ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৫৬ রান তুলে জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। এ মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় রানের নজির গড়লো অস্ট্রেলিয়া।
লাহোর গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৩ রানে ২ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ফিল সল্টকে ১০ ও জেমি স্মিথকে ১৫ রানে আউট করেন পেসার বেন ডোয়ার্শিস।
তৃতীয় উইকেটে ১৫৫ বলে ১৫৮ রানের জুটিতে ইংল্যান্ডকে ভাল অবস্থায় নেন ডাকেট ও জো রুট। জুটিতে রুট ৪টি চারে ৭৮ বলে ৬৮ রান করে আউট হন রুট।
৩২তম ওভারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন ৯৫ বল খেলা ডাকেট।
মিডল অর্ডারে হ্যারি ব্রুক ৩, অধিনায়ক জশ বাটলার ২৩ ও লিয়াম লিভিংস্টোন ১৪ রানে আউট হলেও এক প্রান্ত আগলে ইংল্যান্ডের রানের চাকা সচল রাখেন ডাকেট। ব্যক্তিগত দেড়শ’ রান ছাড়িয়ে ইনিংস বড় করতে থাকেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ৪৮তম ওভারে দলীয় ৩২২ রানে অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার মার্নাস লাবুশেনের বলে আউট হন ১৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১৪৩ বলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৬৫ রানের ইনিংস খেলা ডাকেট। টুর্নামেন্টে আগের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ডটি ছিল নিউজিল্যান্ডের নাথান অ্যাস্টলের। ২০০৪ সালে ওভালে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ১৫১ বলে অপরাজিত ১৪৫ রান করেছিলেন অ্যাস্টল।
ডাকেট ফেরার পর শেষ দিকে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১০ বলে অপরাজিত ২১ রান করেন জোফরা আর্চার। এতে ৮ উইকেটে ৩৫১ রানের বড় সংগ্রহ পায় ইংল্যান্ড। যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সর্বোচ্চ দলীয় রানের নতুন রেকর্ড। আগের রেকর্ডটি ছিল নিউজিল্যান্ডের দখলে। ২০০৪ আসরে ওভালে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৪৭ রান করেছিলো নিউজিল্যান্ড।
বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ডোয়ার্শিস ৩টি, এডাম জাম্পা ও লাবুশেন ২টি করে উইকেট নেন।
৩৫১ রানের জবাবে দলীয় ২৭ রানে ২ উইকেট পতনের পর তৃতীয় উইকেটে ৯১ বলে ৯৫ রানের জুটি গড়েন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ম্যাথু শর্ট ও লাবুশেন। দলীয় ১৩৬ রানের মধ্যে শর্ট (৬৩)ও লাবুশেন (৪৭) আউট হলে অস্ট্রেলিয়ার রানের চাকা ঘুড়িয়েছেন উইকেটরক্ষক জশ ইংলিশ ও অ্যালেক্স ক্যারি।
ইংল্যান্ডের বোলারদের ওপর দাপট দেখিয়ে ১১৬ বলে ১৪৬ রানের জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের আশা বাঁিচয়ে রাখেন ইংলিশ-ক্যারি। দলীয় ২৮২ রানে ক্যারিকে থামিয়ে ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরার সুযোগ করে দেন পেসার ব্রাইডন কার্স। ৮টি চারে ৬৩ বলে ৬৯ রান করেন ক্যারি।
ক্যারি আউট হওয়ার সময় জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দরকার পড়ে ৫০ বলে ৭০ রান। ষষ্ঠ উইকেটে ৩৬ বলে ৭৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে অসিদের জয় নিশ্চিত করেন ইংলিশ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৮তম ম্যাচে প্রথম সেঞ্চুরি করা ইংলিশ ৮টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৮৬ বলে অপরাজিত ১২০ রান করেন । ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৫ বলে অনবদ্য ৩২ রান করেন ম্যাক্সওয়েল।