সোমবার ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, মাঘ ১৪ ১৪৩১, ২৭ রজব ১৪৪৬

ব্রেকিং

জাফর ইকবালরা ইভিএমে কেন সায় দিয়েছিলেন, খতিয়ে দেখবে দুদক ন্যায় বিচারের স্বার্থে ভারত হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে, আশা ক্যাডম্যানে পুতুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার চিঠি ‘এখনও পায়নি’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খারাপ নির্বাচনের জন্য দেশের ভাবমূর্তি ভূলুণ্ঠিত হয়েছে: ইসি সানাউল ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাৎ: তারিক সিদ্দিকসহ ১৯ জনের নামে চার মামলা ৪৪তম বিসিএসের ৯০০ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষার সূচি প্রকাশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল সাত কলেজ সংকট: ধৈর্য ধরার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ১০ বিষয়ে একমত বিএনপি-ইসলামী আন্দোলন সুরের লকারে এক কেজি স্বর্ণ, দেড় লাখের বেশি ডলার টেবিলের নিচ দিয়ে টাকা দেওয়ার চেয়ে বাড়তি ভ্যাট ভালো: অর্থ উপদেষ্টা সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ২ মার্চ আনন্দ, উত্তেজনা নিয়ে গাজার উত্তরাঞ্চলে ফিরছেন ফিলিস্তিনিরা

খেলা

রাজশাহীর জন্য ‘বিশেষ অনুমতি’, একাদশে নেই কোনো বিদেশি ক্রিকেটার

 প্রকাশিত: ১৯:১৬, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫

রাজশাহীর জন্য ‘বিশেষ অনুমতি’, একাদশে নেই কোনো বিদেশি ক্রিকেটার

এমনিতে টসের পরপরই সংবাদমাধ্যমে একাদশ জানিয়ে দেওয়া হয় দুই দলের হোয়াসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে। বিসিবির পক্ষ থেকেও জানানো হয় একাদশ। কিন্তু রংপুর রাইডার্স ও দুর্বার রাজশাহীর ম্যাচে টসের পর একাদশ জানানোর খবর নেই। এমনকি টিভিতেও দেখানো হচ্ছিল না একাদশ। টসের ১৫ মিনিট পর প্রেসবক্সের স্কোরারদের কাছে পাঠানো তালিকা থেকে অবশেষে একাদশ নিশ্চিত হওয়া গেল। সেখানে দেখা গেল, রাজশাহীর একাদশে বিদেশি ক্রিকেটার নেই একজনও!

বিপিএলের প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী, প্রতি দলের একাদশে বিদেশি ক্রিকেটার খেলানো যাবে চার জন। কোনো দল চাইলে দু-একজন কমও খেলাতে পারে। তবে অন্তত দুজন বিদেশি ক্রিকেটার রাখতেই হবে। বিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান ও সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন, রাজশাহীর অনুরোধে শুধু স্থানীয় ক্রিকেটারদের দিয়ে একাদশ সাজানোর বিশেষ অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

রাজশাহী যে শুধু দেশি ক্রিকেটারদের দিয়ে কোদশ সাজাতে পারে, এই আলোচনা অবশ্য ছড়িয়ে পড়ে টসের বেশ আগে থেকেই। বিদেশি কোনো ক্রিকেটার যে দলের সঙ্গে মাঠেই আসেননি! তার পরও অপেক্ষা ছিল একাদশ ঘোষণার। সেখানেই নিশ্চিত হলো এটি।

টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান রকিবুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন, টুর্নামেন্টের স্বার্থেই তারা এটির অনুমতি দিয়েছেন।

"দুর্বার রাজশাহী আজকে আমাদেরকে জানিয়েছে, তাদের বিদেশি ক্রিকেটাররা 'অ্যানঅ্যাভেইলঅ্যাবল।' তারা অনুরোধ করেছে, শুধু দেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে একাদশ সাজাতে চায়। আমরা তখন ব্যাপারটি খতিয়ে দেখেছি। প্লেয়িং কন্ডিশনে এরকম ধারা আছে বিশেষ বিবেচনার। আমরা তাদেরকে সেই বিশেষ অনুমতি দিয়েছি।"

ম্যাচ যখন শুরু হয়েছে, তখন বিসিবির পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিত জানানো হয়, বিপিএলের প্লেয়িং কন্ডিশনের ১.২.৮ ধারা অনুযায়ী এই অনুমতি দিয়েছে টেকনিক্যাল কমিটি।

বিপিএলে এবার ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ইস্যুতে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক-আলোচনায় আছে দুর্বার রাজশাহী। পারিশ্রমিক না পেয়ে চট্টগ্রামে একদিন অনুশীলন বর্জন করেন এই দলের ক্রিকেটাররা। যদিও পরে সেটি অস্বীকার করা হয় দলের পক্ষ থেকে। তবে দলের অনেক ক্রিকেটারই অনুশীলন বয়কট করার ব্যাপারটি সংবাদমাধ্যমে নিশ্চিত করেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে। বোর্ডের চাপে সেদিন ক্রিকেটারদের আশ্বাস দিয়ে পরদিন অনুশীলনে ফেরায় দলটি। এরপরও পারিশ্রমিক না দেওয়া নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ শোনা গেছে।

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফেরার পর রোববার সকালে হুট করেই টিম হোটেল পরিবর্তন করে দলটি। ম্যাচের দিন সকালে টিম হোটেল বদলের ঘটনা বিপিএলের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এরপর বিদেশি ক্রিকেটার ছাড়া একাদশ সাজানোর এই ঘটনা।

এখনে বিদেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক না পাওয়ার কোনো সংযোগ আছে কি না, তা নিশ্চিত করতে পারলেন না টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান।

"আমাদেরকে তারা শুধু বলেছে 'আনঅ্যাভেইলঅ্যাবল।' কারণ ব্যাখ্যা করেনি। আমরা আসলে টুর্নামেন্টের স্বার্থে তাদেরকে এই অনুমতি দিয়েছি। আমরা তো সবাই চাই, খেলাটা যাতে ডিস্টার্বড না হয়।"

বিসিবি পরিচালক ও বোর্ডের মিডিয়া কমিটির প্রধান ইফতেখার রহমান সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, রাজশাহীর এই ব্যাপারটি নিয়ে দ্রুতই কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।

"দুঃখজনক তো অবশ্যই। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত। দল নিয়ে যা ঘটছে, সবকিছুই অনাকাঙিক্ষত। এটা নিয়ে আলোচনা করছি, বিসিবির দায়িত্ব এই সমস্যা বের করে সমাধান করা। বোর্ড মিটিংয়েও এই বিষয়টি আলোচনায় এসেছে, সমস্যা চিহ্নিত করার বিষয়ে। কিন্তু প্রতিনিয়ত নতুন নতুন জিনিস দেখছি। বিপিএলের শেষের দিকে চলে আসছে, অস্বীকার করার কিছু নেই।"

"বিদেশি ক্রিকেটার আসেনি, এটা নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কী ধরণের সিদ্ধান্ত আসবে, সেটি বলতে পারছি না। কিন্তু কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। আমরা ছাড় দিচ্ছি, খেলছে খেলুক। কিন্তু কতটুকু ছাড় দেওয়া যাবে? আমরা তো বিপিএলের মর্যাদা ক্ষুন্ন হতে দিতে পারি না। বিসিবির প্রধান দায়িত্ব বিপিএলের মর্যাদা রক্ষা করা।"