বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, পৌষ ২৬ ১৪৩১, ০৯ রজব ১৪৪৬

বিজ্ঞান

ফ্যাক্ট চেকারদের আর ব্যবহার করবে না ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম

 প্রকাশিত: ১৭:১৮, ৮ জানুয়ারি ২০২৫

ফ্যাক্ট চেকারদের আর ব্যবহার করবে না ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম

প্ল্যাটফর্মে তথ্য যাচাই পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আনার ঘোষণা দিয়েছেন মেটা প্রধান মার্ক জাকারবার্গ।

নিজেদের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রাম বাতিল’সহ ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডস-এ ইলন মাস্কের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এর মতো ‘কমিউনিটি নোট’ চালু করবে টেক জায়ান্টটি, যেখানে পোস্টের নির্ভুলতা সম্পর্কে মন্তব্যের বিষয়টি থাকবে ব্যবহারকারীদের ওপর।

মঙ্গলবার এক ব্লগ পোস্টের পাশাপাশি এক ভিডিওতে মেটা প্রধান জাকারবার্গ বলেছেন, তৃতীয় পক্ষের মডারেটররা ‘রাজনৈতিকভাবে খুব বেশি পক্ষপাতী’ এবং ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য আমাদের গোড়ায় ফিরে যাওয়ার সময় এসেছে’।

এ মাসের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের দায়িত্ব নেবেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এর আগেই জাকারবার্গ ও অন্যান্য প্রযুক্তি প্রধানরা ট্রাম্পের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করছেন। আর এমন এক সময়ই মেটা এ পদক্ষেপ নিলো বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।

বরাবরই মেটার ‘ফ্যাক্ট-চেকিং’ নীতির সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প ও তার রিপাবলিকান মিত্ররা। একইসঙ্গে এটি ডানপন্থী কণ্ঠ চেপে ধরে বলেও বর্ণনা করেছেন তারা।

কোম্পানিটির ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রাম বাতিল’সহ এ পরিবর্তনের ঘোষণার পর এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছেন, জাকারবার্গের সিদ্ধান্তে তিনি মুগ্ধ ও মেটা ‘অনেক দূর এগিয়েছে’।

অতীতে ট্রাম্প তাকে যে হুমকি দিয়েছেন জাকারবার্গ সেই হুমকির ‘সরাসরি জবাব’ দিচ্ছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “সম্ভবত”।

এ ঘোষণার পর মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স প্রধান নিক ক্লেগের স্থলাভিষিক্ত হওয়া রিপাবলিকান জোয়েল কাপলান লিখেছেন, স্বাধীন মডারেটরদের ওপর কোম্পানির নির্ভরতা ছিল ‘ভাল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’। তবে বেশিলভাগে ক্ষেত্রে এগুলো ছিল সেন্সরশিপেরই ফল।

এদিকে, মেটার তৃতীয় পক্ষের ‘ফ্যাক্ট-চেকিং’ বাতিল ও কনটেন্ট মডারেশন শিথিলের সিদ্ধান্তকে ‘হিমশীতল’ আখ্যা দিয়েছে বিশেষজ্ঞ ও ক্যাম্পেইনাররা। একইসঙ্গে এটি অনলাইন নিরাপত্তার জন্য ‘ভয়াবহ পরিণতি’ হতে পারে বলেছেন তারা।

“জাকারবার্গের ঘোষণা আসন্ন ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির এক নির্লজ্জ প্রচেষ্টা, যার রয়েছে ক্ষতিকর প্রভাব,” বলেছেন ক্যাম্পেইন দল ‘গ্লোবাল উইটনেস’-এর আভা লি।

“সেন্সরশিপ এড়ানোর দাবি একটি রাজনৈতিক পদক্ষেপ, যা বিভিন্ন প্লাটফর্মগুলোকে উৎসাহিত করবে এবং ঘৃণা ও বিভ্রান্তির মতো দায়ভার গ্রহণ এড়ানোর সুবিধাও দেবে।”