সেই ‘ছোট চাঁদ’ পৃথিবীর কক্ষপথে যুক্ত হল
পৃথিবীর কক্ষপথে যোগ হয়েছে নতুন এক গ্রহাণু, যাকে ‘মিনি-মুন’ বা ‘ছোট চাঁদ’ বলে ডাকছেন অনেকেই।
‘২০২৪ পিটি৫’ নামের গ্রহাণুটি বহু বছর ধরেই পৃথিবীর পেছন পেছন ছুটছে। আর এখন এটি ভূপৃষ্ঠের মাধ্যাকর্ষণ বলে আকৃষ্ট হওয়ার মতো যথেষ্ট কাছাকাছি চলে এসেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
গ্রহাণুটি নভেম্বর পর্যন্ত পৃথিবীর কক্ষপথে অবস্থান করে দূরে চলে যাবে। এর পর সূর্যের আশপাশের নতুন এক কক্ষপথে অবস্থান করবে এটি।
মিনি-মুনের মতো ঘটনা ঘটে যখন কোনো গ্রহাণু ধীরে ধীরে পৃথিবীর কাছে এমনভাবে চলে আসে যে, সূর্যের শক্তিশালী আকর্ষণের চেয়ে এটি পৃথিবীর নিজস্ব মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা বেশি আকৃষ্ট হয়।
এগুলো সাধারণত এমন গ্রহাণু বা অন্যান্য সাধারণ বস্তু থেকে গঠিত হয় যেগুলো মহাকাশে ভাসমান অবস্থায় আছে। তবে, এগুলো মানবসৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও আছে, যখন পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণে বিভিন্ন মহাকাশ বর্জ্য আটকে যায়।
২০২৪ পিটি৫’র প্রথম ধারণা মিলেছে গত মাসে, যখন বিজ্ঞানীরা ‘অ্যাস্টারয়েড টেরেস্ট্রিয়াল-ইম্প্যাক্ট লাস্ট অ্যালার্ট সিস্টেম’ টেলিস্কোপে এটি চিহ্নিত করেন। আর এর নামে ‘২০২৪’ রাখা হয়েছে এটি খুঁজে পাওয়ার বছরটি উল্লেখ করতে।
অ্যালার্ট সিস্টেমটি এমন এক প্রকল্প, যার মাধ্যমে পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসা বিভিন্ন বিপজ্জনক বস্তু শনাক্ত করতে পারে। তবে, নতুন এই ছোট চাঁদে এমন কোনো ঝুঁকি ধরা পড়েনি।
‘এ টু-মান্থ মিনি-মুন’ শীর্ষক এক গবেষণাপত্রে গত মাসে এই অনুসন্ধানের বিস্তারিত প্রকাশ পেয়েছিল বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল ‘রিসার্চ নোটস অফ দ্য এএএস’-এ। এতে গবেষকরা উল্লেখ করেন, গ্রহাণুটি পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে যাওয়ার আগে ঘোড়ার নালের মতো একটি পথ অনুসরণ করবে, যা সম্ভবত ঘটবে ২৫ নভেম্বরের দিকে।