গজারিয়ায় আধিপত্য নিয়ে বিএনপি-আ.লীগ সমর্থকদের গোলাগুলি, এলাকায় আতঙ্ক

গজারিয়ায় আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষ, থেমে থেমে গুলি ও আতঙ্ক
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামে রাত ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষ চলে। এতে বসতঘরে ভাঙচুর ও একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। সংঘর্ষের জেরে এলাকায় চরম উত্তেজনা এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নদী থেকে বালু উত্তোলনের নিয়ন্ত্রণ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে ইমামপুর ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিরুল ইসলাম ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী সাজেদুল ইসলাম ও সৈকত হাসানের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। দুই পক্ষের মধ্যে আগেও একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে, এবং তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সাজেদুল ও সৈকত পক্ষের লোকজন নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে গেলে আমিরুল পক্ষের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে শুরু হয় পাল্টাপাল্টি গুলি, ককটেল ও হাতবোমা নিক্ষেপ। সংঘর্ষে গুজব ছড়ায় যে আমিরুল পক্ষের হৃদয় নামে একজন মারা গেছেন, এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এ সময় উভয় পক্ষ একে অপরের বাড়িতে হামলা চালায়, বসতঘর ভাঙচুর ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। সংঘর্ষ থেমে থেমে রাত ১২টা পর্যন্ত চলে। এলাকাবাসী আতঙ্কে ঘরের মধ্যে অবস্থান করেন। কেউ কেউ বলেন, বিস্ফোরণের শব্দে পুরো গ্রাম কেঁপে উঠছিল।
এক পক্ষের নেতা সৈকত হাসান অভিযোগ করেন, তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, আমিরুলের ছেলে সুমন ব্যাপারী পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে হামলা চালানো হয়।
গজারিয়া থানার ওসি আনোয়ারুল আলম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকা শান্ত রয়েছে। কেউ এখনো অভিযোগ না করলেও উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।