এক দশক পর সাহাব উদ্দিন হত্যা মামলায় ১২ পুলিশ ও এক আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ

এক দশক পর সাহাব উদ্দিন হত্যা মামলায় পুলিশের ১২ সদস্য ও ১ আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সাবেক ছাত্রশিবির নেতা সাহাব উদ্দিনকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যার অভিযোগে ১২ পুলিশ সদস্য ও একজন আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছে তাঁর পরিবার। ঘটনার এক দশক পর মঙ্গলবার সাহাব উদ্দিনের বাবা জয়নাল আবদীন পাটোয়ারী কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই মামলা করেন।
আইনজীবী মুহাম্মদ বদিউল আলম জানান, আদালত শুনানি শেষে মামলাটি গ্রহণ করেছেন এবং আগামীকাল আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন রাজনৈতিক চাপের কারণে বিচার না পেলেও এবার পরিবার ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছে।
২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সাহাব উদ্দিনকে তাঁর বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পরের দিন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়। পরিবারের দাবি, তাঁর মাথায় গুলি ও শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন ছিল।
মামলায় আসামি করা হয়েছে তৎকালীন ওসি উত্তম কুমার চক্রবর্তী, পরিদর্শক আবদুল্লাহ আল-মাহফুজ, এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার, ইব্রাহীম, ডিবি পুলিশের এসআই শাহ কামাল আকন্দ, শহীদসহ আরও কয়েকজন কনস্টেবল ও আনসার সদস্যকে। মামলায় নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, তৎকালীন সরকারের রাজনৈতিক নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের নামও সেখানে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাদী জয়নাল আবদীন পাটোয়ারী বলেন, ‘আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমি সেই হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার চাই।’