খুলনায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে এনসিপির প্রশ্ন

আজ রোববার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে খুলনায় ঝটিকা মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
খুলনায় আজ রোববার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেছেন। সকালে জিরো পয়েন্ট এলাকায় মিছিলের পর দুপুরে সোনাডাঙ্গা থানা এলাকার মজিদ সরণি, বয়রা মহিলা কলেজ সড়ক ও দৌলতপুরে আলাদা তিনটি ঝটিকা মিছিল করে দলটির নেতা-কর্মীরা।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র দেওয়ার প্রতিবাদে এবং সেই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যানারে এসব কর্মসূচি পালিত হয়।
মিছিলে অংশ নেওয়ার পর জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়ার দাবি করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। যদিও খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, “আমি কোনো স্মারকলিপি পাইনি। তবে কেউ ফ্রন্ট ডেস্কে দিয়ে গেছে কি না, তা আমার জানা নেই।”
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসনের নির্লিপ্ত ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেন এনসিপি নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে আহমেদ হামীম ও আবদুল্লাহ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, “গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর রাজপথে কেউ সাহস করেনি নামার। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তায় আজ সেই জিরো পয়েন্টে সন্ত্রাসীরা আবার আস্ফালন করছে।”
তাঁরা প্রশাসনের নিরবতাকে রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যর্থতা হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, “এটা শুধু প্রশাসনের দুর্বলতা নয়, বরং গোটা রাষ্ট্রের দায়িত্বহীনতার বহিঃপ্রকাশ।”
নেতারা দাবি জানান, আওয়ামী লীগের এই তৎপরতার যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে হবে এবং যারা মিছিলে অংশ নিয়েছেন, তাঁদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানান তারা।
খুলনা মহানগর পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার সাংবাদিকদের জানান, “আওয়ামী লীগের এমন কর্মসূচির কোনো গোয়েন্দা তথ্য আগে থেকে ছিল না। হঠাৎ করেই তারা মিছিল করেছে। তবে প্রশাসন তৎপর রয়েছে, এবং মিছিলকারীদের ধরতে অভিযান চলছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের তৎপরতা যেন পুনরায় না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”