শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, বৈশাখ ৬ ১৪৩২, ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

ব্রেকিং

হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে দুই নারীসহ ৪ জন নিহত টাকা পাচার বন্ধে ব্যাংক রেজোল্যুশন অধ্যাদেশ পাস বিএনপির সঙ্গে বিরোধ? এটা কোনো বিরোধই না: জামায়াত আমির সংস্কারে একমত না হলে নির্বাচন পেছাবে: জামায়াত আমির সংস্কারে সিরিয়াস বিএনপি: সালাহউদ্দিন হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞার হুমকি ট্রাম্প প্রশাসনের বাংলাদেশের মন্তব্যকে ‌‘অপ্রয়োজনীয় ও লোক দেখানো’ বললো ভারত প্রায় ১৫ বছর পর ঢাকা ও ইসলামাবাদের এফওসি’র আয়োজন ঐকমত্য কমিশনের স্প্রেডশিটে ‘বিভ্রান্ত’ বিএনপি ১২ অঞ্চলের নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত আপিল বিভাগের নতুন দুই বিচারপতির সংবর্ধনা রোববার ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি গ্যাসের দামে ভেদাভেদ: ‘পিছিয়ে পড়বেন’ নতুন উদ্যোক্তারা রাশিয়ার কাছে কেন মার্কিন যুদ্ধবিমান হারাচ্ছে ইউক্রেন? মেয়ের জন্য চাকরি চান শহীদ বাচ্চুর স্ত্রী লাইলি বেগম

রাজনীতি

সংস্কারে একমত না হলে নির্বাচন পেছাবে: জামায়াত আমির

 প্রকাশিত: ১৯:০৪, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

সংস্কারে একমত না হলে নির্বাচন পেছাবে: জামায়াত আমির

সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য না হলে নির্বাচনের সময় আরও পেছাবে উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সংস্কারের প্রধান অংশীজন হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। দলগুলো যত তাড়াতাড়ি এবং যত আন্তরিকভাবে সংস্কারে সহযোগিতা করবে তত তাড়াতাড়ি নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে।

জামায়াত আমির বলেন, সংস্কারে যদি সহযোগিতার ঘাটতি থাকে কিংবা সংস্কার যদি না হয়, তাহলে দেশের মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা, সংস্কারের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করার যে দাবি, তা বাস্তবায়ন না হলে নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। যার দায় রাজনৈতিক দলগুলোকে নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে জামায়াত আমিরের ইউরোপ সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেশ নতুনভাবে স্বাধীনতা পেয়েছে। এই অবস্থায় দেশে নির্বাচন হওয়ার আগে তিনটি শর্তপূরণ হতে হবে। মৌলিক সংস্কার, সহাবস্থানসহ নির্বাচনের শর্ত পূরণ করতে হবে। তা নাহলে নির্বাচনের কমিটমেন্ট ঠিক থাকবে কি না, তা আল্লাহ জানেন।

জামায়াত আমির আরও বলেন, অনেক কষ্টে যে পরিস্থিতি এসেছে। এতে তিনটি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর প্রধান হচ্ছে দৃশ্যমান গ্রহণযোগ্য মৌলিক সংস্কার, আমরা তা সংস্কার কমিশনের কাছে দিয়েছি। এসব পরিবর্তন ছাড়া কোনো নির্বাচন হলে গণতন্ত্রের কোনো ভিত্তি গঠন হবে না। এ নির্বাচনও তাহলে পূর্বের মতো খারাপ নির্বাচন হবে। হাজার হাজার মানুষের রক্তের বিনিময়ে যে বিজয় এসেছে, সেখানে এই পরিবর্তন খুবই জরুরি।

গণহত্যাকারীদের দৃশ্যমান বিচার করতে হবে জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, যাতে মানুষের আস্থা ফিরে আসে, শহীদের আত্মা প্রশান্তি পায়। আর এটা দৃশ্যমান নির্বাচনের আগেই করতে হবে। তবে এর মানে এই নয় যে, নির্বাচনের আগে বিচার শেষ করতে হবে, এটা আদালতের ওপর, আদালতের যতটুকু সময় লাগে তারাও অতটুক সময় বিচার করবে। তবে রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের দাবি জানানোর আছে, তাই আমরা দাবি জানাচ্ছি।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্মানবোধ থাকতে হবে জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, যাতে এমন না হয়, আমি জিতে গেলেই নির্বাচন সুষ্ঠু হলো, না জিতলে দুষ্ট—এমন মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এর জন্য সবার এনগেজমেন্ট প্রয়োজন। এটি সরকারের তরফ থেকেই হতে পারে, রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্যোগে হতে পারে, সিভিল সোসাইটির উদ্যোগেও হতে পারে।