হেফাজত ইসলাম ও এনসিপির একমত: আওয়ামী লীগের বিচার ও নিবন্ধন বাতিলের

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ একমত হয়েছে, নির্বাচন শুরুর আগে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হওয়া উচিত এবং বিচার না হওয়া পর্যন্ত দলটির নিবন্ধন বাতিল ও রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত রাখা দরকার। বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন টাওয়ারে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে দুই দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এক বৈঠকে এই বিষয়ে মতৈক্য পৌঁছানো হয়।

বৈঠকে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান ও এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন। উভয় দলই গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার দাবি করে, এটির দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেছে।

এছাড়া, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ শাসনামলে হেফাজতে ইসলামসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের বিষয়েও একমত হয়েছেন দুই পক্ষ।

এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক রফিকুল ইসলাম আইনী জানিয়েছেন, এই বৈঠকে নির্বাচনের আগে বিচার ও সংস্কারের একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণহত্যার দায়ে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, হেফাজতের পক্ষ থেকে সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ বিশ্বাস এবং আস্থা ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যেখানে বহুত্ববাদ বিষয়টি নিয়ে কিছু আপত্তি প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম।

বৈঠকে হেফাজতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে নায়েবে আমির ড. আহমেদ আব্দুল কাদের, মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মাওলানা আহমেদ আলী কাসেমী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক ও মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী উপস্থিত ছিলেন। এনসিপির পক্ষ থেকে সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ উদ্দীন মাহদী, সংগঠক রফিকুল ইসলাম আইনী এবং মোহাম্মদ সানাউল্লাহ খান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।