নীতিগত বিরোধ থাকলেও আমরা জুলাইয়ে গঠিত ঐক্য থেকে সরে যাব না: নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, রাজনীতিবিদ ও অভ্যুত্থানের শক্তিদের মধ্যে বিভক্তি সামরিক ও বেসামরিক আমলাতন্ত্র, মাফিয়া জোট, ব্যবসায়ী শ্রেণি এবং ষড়যন্ত্রকারী বিদেশি শক্তিকে সুযোগ করে দিতে পারে। তিনি সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, "নীতিগত বিরোধ থাকলেও আমরা জুলাইয়ে গঠিত ঐক্য থেকে সরে যাব না।"
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনীতিবিদ, ছাত্র-শ্রমিক, পেশাজীবী, মানবাধিকারকর্মী, ওলামায়ে কেরাম ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, "প্রস্তাবিত জুলাই সনদ দ্রুত কার্যকর দেখতে চাই। সনদ কার্যকরের মাধ্যমে সংস্কারের রূপরেখা স্পষ্ট হবে। সংবিধান সংস্কারের পাশাপাশি জনপ্রশাসন ও পুলিশ সংস্কার করতে হবে। নারীর প্রতি সহিংসতা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধেও আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।"
তিনি বলেন, "কিছু গোষ্ঠী বাংলাদেশ ও ইসলাম সম্পর্কে বিশ্বে নেতিবাচক তথ্য উপস্থাপনের চেষ্টা করছে। তাই সরকারের পাশাপাশি সামাজিক-রাজনৈতিক মহল থেকেও সন্ত্রাসী ও উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। বাংলাদেশ পুনর্গঠন একদিনে সম্ভব নয়, আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির আমূল পরিবর্তন চাই। গণতন্ত্রের পক্ষে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।"
ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আমির মাওলানা মামুনুল হক, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, এবি পার্টির আসাদুজ্জামান ফুয়াদসহ অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা।
ছাত্র সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকেও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগতুল্লাহ, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার, সদস্যসচিব জাহিদ আহসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক আব্দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট নয়জন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, বামপন্থী সংগঠনের নেতারাও ইফতার মাহফিলে অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদুর রহমান, সাংবাদিক মাসুদ কামাল, লেখক মূসা আল হাফিজ, হেফাজত নেতা মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, ধর্মীয় আলোচক হাবিবুর রহমান মিসবাহ, কলরব শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পী বদরুজ্জামান ও আবু রায়হান।
নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে সদস্যসচিব আখতার হোসেন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব ও সামান্তা শারমিন, জ্যেষ্ঠ সদস্যসচিব তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।