সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের আজ এই পরিণতি হতো না - আব্দুস সালাম

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেছেন, "ফ্যাসিস্ট সরকারের কাছে আমরা সবসময় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চেয়েছি এবং নির্বাচনের আগে সরকার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু তারা সেই আহ্বান শোনেনি। যদি শুনত, তাহলে আওয়ামী লীগের আজ এই পরিণতি হতো না।"
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্যই আমরা আন্দোলন করেছি। কিন্তু গত ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট সরকার কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেয়নি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ছিল না।"
আব্দুস সালাম আরও বলেন, "আওয়ামী লীগ তো কবরে ফেলে শেখ হাসিনা পালিয়েছে। সেই কবর থেকে দলকে তুলে আনার দায়িত্ব কার? এই অবস্থা থেকে তাদের নিজেদেরই বের হতে হবে।"
তার মতে, গণতন্ত্র শুধু বিএনপির জন্য নয়, আওয়ামী লীগের জন্যও জরুরি ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা তা বুঝতে চাননি। "যদি তিনি গণতন্ত্রের পথ খোলা রাখতেন, তাহলে আজ পালিয়ে বেড়াতে হতো না। এই দায় তারই। আওয়ামী লীগের সমর্থকদেরই তার বিচারের দাবি তোলা উচিত," বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের একবার পতন হয়েছিল ১৯৭৫ সালে। পরবর্তীতে দলকে পুনর্গঠন করে ২০২৪ সালে আবারও পতনের দিকে নিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা। এমনকি তার বাবাকেও নতুন করে রাজনৈতিকভাবে "কবরস্থ" করেছেন তিনি। "এটি জাতির দায় নয়, বরং জাতির একমাত্র চাওয়া এখন একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার," মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা।
এদিকে, প্রধান নির্বাচন উপদেষ্টা ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুককে জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে, নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনেরও প্রস্তুতি চলছে। এনসিপি জানিয়েছে, নির্বাচনের আগে বিচার ও সংস্কারের রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। বিএনপি বারবারই নির্বাচনের জন্য চাপ দিচ্ছে, আর জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি ও এনসিপি একটি সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচনের আগে সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
দি গার্ডিয়ান পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "শেখ হাসিনার উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি মূল বিষয় নয়, বরং তার বিচার সম্পন্ন করাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।" এর আগে বিবিসিকেও তিনি একই বক্তব্য দিয়েছিলেন।