নতুন ছাত্রসংগঠনের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ আজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের উদ্যোগে নতুন একটি ছাত্রসংগঠনের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে আজ বুধবার। বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনটির ঘোষণা দেওয়া হবে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আল মাশনুন নামের এক শিক্ষার্থী নতুন এই ছাত্রসংগঠনের তথ্য জানান। সম্ভাব্য নাম হিসেবে আলোচনায় রয়েছে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’। সংগঠনটির নেতৃত্বে থাকবেন স্থগিত হওয়া ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’র সাবেক নেতারা। পাশাপাশি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সক্রিয় ছাত্রলীগের পদত্যাগী ও বাধ্য হয়ে ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরাও থাকছেন। এছাড়া ইসলামি ছাত্রশিবিরের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে যুক্ত ছিলেন—এমন শিক্ষার্থীদের কেউ কেউও নতুন সংগঠনে থাকছেন।
সংগঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে মঙ্গলবার রাতে ছাত্রনেতারা নিজেদের মধ্যে এক বৈঠকে মিলিত হন। সেখানে কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃত্ব চূড়ান্ত করা হয়।
নতুন ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হচ্ছেন আবু বাকের মজুমদার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি সম্মুখসারির অন্যতম সমন্বায়ক ছিলেন এবং গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসচিব হচ্ছেন জাহিদ আহসান, যিনি বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলের সম্পাদক। তিনি একসময় ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া, কেন্দ্রীয় কমিটির মুখ্য সংগঠক হচ্ছেন তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী এবং মুখপাত্র আশরেফা খাতুন। দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক হচ্ছেন সাবেক সমন্বায়ক আবদুল কাদের, যিনি ৯ দফা কর্মসূচি দিয়ে আলোচনায় আসেন। তার সঙ্গে সদস্যসচিব হিসেবে থাকছেন মহির আলম। কাদের আগে ছাত্রশক্তির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, আর মহির ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও কোনো পদে ছিলেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মুখ্য সংগঠক হচ্ছেন হাসিব আল ইসলাম, মুখপাত্র রাফিয়া রেহনুমা হৃদি। তারা দুজনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সক্রিয় নেতা ছিলেন।
সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটি ঘোষণা করা হবে, যার সদস্যসংখ্যা হবে ১৫০ জন করে। অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধাপে ধাপে কমিটি গঠন করা হবে।
নেতারা জানান, নতুন ছাত্রসংগঠনটি ‘স্টুডেন্টস ফার্স্ট’ ও ‘বাংলাদেশ ফার্স্ট’ নীতিতে পরিচালিত হবে। ছাত্র ও নাগরিক স্বার্থ সুরক্ষায় কাজ করবে সংগঠনটি এবং কোনো রাজনৈতিক দলের অনুসারী বা অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নকারী হবে না। সংগঠনের নেতৃত্ব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন করা হবে।