বিএনপির নির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভা ২৭ ফেব্রুয়ারি

আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বিএনপির নির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই সভায় সভাপতিত্ব করবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় অন্তত চার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতি প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এই সভায় নির্বাহী কমিটির সদস্য, ২০১৮ সালে মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী, সাংগঠনিক জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সভাপতি-সেক্রেটারি, বিভিন্ন উপ-কমিটির সদস্যসহ মনোনয়ন ফরম ক্রয়কারীদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ‘বর্ধিত সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা, জেলা, মহানগর, থানা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা অংশ নেবেন।’
নির্বাহী কমিটির এই বর্ধিত সভায় এবার তৃণমূলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হচ্ছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বিশেষভাবে আগ্রহী আগামী জাতীয় নির্বাচন, সম্ভাব্য দেশের পরিস্থিতি, করণীয় ও কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূলের মতামত শুনতে।
স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, ‘দেশ এক পরিস্থিতি থেকে আরেক পরিস্থিতিতে উত্তীর্ণ হয়েছে। তাই আগামী করণীয় নিয়ে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে চায় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব।’
সভায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বেশ কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তার নির্দেশনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয়:
- আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্য সুদৃঢ় করা।
- দলের বিরুদ্ধে চলমান নানামুখী তৎপরতার বিষয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক করা।
- আন্দোলনে নিহত, আহত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের এবং তাদের পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিত করা।
- নির্বাচনে প্রার্থিতা, দলীয় ঐক্য বজায় রাখা ও নির্বাচনি কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার নির্দেশনা প্রদান।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘বর্ধিত সভায় কী আলোচনা হবে বা নির্দেশনা আসবে, তা স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা শেষে চূড়ান্ত করা হবে।’
বিএনপির এক প্রভাবশালী দায়িত্বশীল নেতা জানান, লন্ডন থেকে দল পরিচালনা করায় তারেক রহমান নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাতে পারেন। একইসঙ্গে, বিগত সরকারের সময় বহিষ্কৃত নেতাকর্মীদের জন্য বিশেষ বার্তাও আসতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত বিএনপির বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং অনলাইনে যুক্ত ছিলেন তারেক রহমান। হোটেল লা মেরিডিয়ানে আয়োজিত সেই সভাকে কেন্দ্র করে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছিলেন। তবে এবারের সভায় তেমন প্রতিকূল পরিস্থিতির আশঙ্কা নেই বলে মনে করছে দলীয় নেতৃত্ব।