রোববার ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, পৌষ ১ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ব্রেকিং

গ্রেপ্তার অভিযান আরো জোরদার করা হবে: আসিফ মাহমুদ দেশকে আরও উন্নত ও স্বাধীনতার পূর্ণ সুফল ভোগ করতে আমরা বদ্ধপরিকর : প্রধান উপদেষ্টা ভবিষ্যতে ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা কমানো হবে: অর্থ উপদেষ্টা বেনজীর ও মতিউর পরিবারের বিরুদ্ধে ৬ মামলা ‘কয়েকজন’ বিচারপতির বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে জুডিশিয়াল কাউন্সিলের প্রতিবেদন রাজনৈতিক মঞ্চে সশরীরে আসছেন খালেদা জিয়া ভোট ‘চুরিতে’ জড়িত কর্মকর্তাদের বিচার চায় বিএনপি মহার্ঘ্য ভাতা সব সরকারি কর্মচারী পাবেন: জনপ্রশাসন সচিব রাষ্ট্রের সংস্কার কখনো রাজনীতিবিদদের অবসর দিয়ে হয় না: রিজভী ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী নদীসহ চার জন রিমান্ডে মানহানির মামলায় এবিসি নিউজ থেকে দেড় কোটি ডলার পাচ্ছেন ট্রাম্প

রাজনীতি

রাজনৈতিক মঞ্চে সশরীরে আসছেন খালেদা জিয়া

 প্রকাশিত: ১৪:৩৫, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজনৈতিক মঞ্চে সশরীরে আসছেন খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অর্ধযুগ বাদে রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচিতে সশরীরে যোগ দিতে যাচ্ছেন।

আগামী ২১ ডিসেম্বর ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে তিনি উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক আজিজ উলফাত।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওই সমাবেশ হবে জানিয়ে উলফাত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘ম্যাডাম আমাদের মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে আসবেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ২১ ডিসেম্বর আমরা এই মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের আয়োজন করেছি। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া।”

তিনি বলেন, ‘‘গতকাল রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমাদের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ আমি ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছি। তিনি সম্মতি দিয়েছেন; বলেছেন, শরীর ভালো থাকলে মুক্তিযোদ্ধাদের এই সমাবেশ তিনি আসবেন। আমাদের প্রত্যাশা ম্যাডাম এই সমাবেশ যোগ দেবেন ইনশাল্লাহ।”

সবশেষ ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার লো মেরিডিয়ানে বিএনপির বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর তিন দিন বাদে ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে।

ওই বছরের অক্টোবরে হাই কোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আরও সাত বছরের সাজা হয় বিএনপি নেত্রীর।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। ওই বছরের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি পেয়ে গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফেরেন খালেদা। তখন থেকে তিনি সেখানেই আছেন।

এরপর থেকে পরিবারের আবেদনে প্রতি ছয় মাস পরপর বিএনপি নেত্রীর মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে আসছিল শেখ হাসিনার সরকার। প্রতিবারই তাকে দুটি শর্ত দেওয়া হচ্ছিল। তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।

গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিনই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেন।

পরে নয়া পল্টনে বিএনপির এক সমাবেশে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন তিনি। আর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

২১ ডিসেম্বরের মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে সারাদেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ঢাকায় আনা হচ্ছে জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি উলফাত বলেন, “ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর এই সমাবেশটি দেশনেত্রীকে সামনে রেখে করার প্রেক্ষাপটে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান বলেন, ‘‘মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভfর্চুয়ালি যোগ দেবেন।”