বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্রেকিং

শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশে সহায়ক শিক্ষাব্যবস্থা দরকার : ড. মুহাম্মদ ইউনূস কাউকে নির্বাচনে ‘আনতে চাই’ বলিনি: আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে ফখরুল ডেঙ্গু: একদিনে ভর্তি ১০৩৪ রোগী, মৃত্যু ৫ জনের আনিসুল হক ও দীপু মনিসহ সাবেক ৫ মন্ত্রী নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস জন্মদিনের প্রথম প্রহরে তারেক পেয়েছেন মায়ের ফোন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক পুলিশ প্রধানসহ ৮ জন জাবির ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় বরখাস্ত ৪, ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা সরবরাহ-পর্যবেক্ষণ জোরদারের মাধ্যমে সিন্ডিকেট অকার্যকর করা হবে: উপদেষ্টা প্রতি ইসরায়েলি বন্দির মুক্তিতে পাঁচ মিলিয়ন ডলার দেবেন নেতানিয়াহ লেবাননে সংঘাতে ২শ’র ও বেশি শিশু নিহত : ইউনিসেফ

মতামত

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নাগরিক স্বাধীনতার পরিপন্থী

 আপডেট: ২০:৪৯, ১৯ ডিসেম্বর ২০২১

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নাগরিক স্বাধীনতার পরিপন্থী

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দী অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিভিন্ন সংগঠন ও নাগরিক সমাজের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এই আইনটিতে কিছু পরিবর্তন আনার কথা বলেছে।

তবে তীব্র সমালোচনা করেছেন দেশের বিশিষ্ট আইনজ্ঞরা। তাদের মতে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নাগরিকদের স্বাধীনতার পরিপন্থী। এটা মতপ্রকাশ বা বাকস্বাধীনতা খর্ব করছে এবং গণমাধ্যমের প্রতি হুমকিস্বরূপ। এ আইন মানুষের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করছে বিধায় অবিলম্বে তা বাতিল করা প্রয়োজন। আইনজ্ঞরা বলেন, এই আইনের একমাত্র উদ্দেশ্য মতপ্রকাশ বা বাকস্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করা। এ আইনে অভিযোগ এলেই পুলিশ মামলা নিয়ে সাথে সাথেই অভিযুক্তকে আটক করছে। এই আইনের কারণে গণমাধ্যমের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের মধ্যেও একটা ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে।

আইনবিদরা আরো বলেন, ভাবমূর্তি হানি বা ক্ষুণ্ণ করা বা অপমান করার জন্য দুনিয়ার কোথাও আইন নেই। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার কারণে অপরাধ হয়, এটা নাই। এটা গণতান্ত্রিক পৃথিবীতে নেই। তারা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৯ ও ৩০ এই পাঁচটি ধারা অবিলম্বে বিলোপ করতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে সেই আইনে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়া সংক্রান্ত ধারা থাকতে পারে না। তা হলে সেই আইনের অপপ্রয়োগ বা অপব্যবহার হতে বাধ্য।

 

এ বিষয়ে প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন নয়া দিগন্তকে বলেন, আইনমন্ত্রী বলেছেন এখন থেকে তদন্ত করে ডিজিটাল আইনে মামলা করা হবে। এতদিন ধরে ডিজিটাল আইনে ঢালাওভাবে সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানি করা হয়েছে। এমনকি এই আইনে আটক লেখক মুশতাক আহমেদ কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন, তার দায়ভার কে নেবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নাগরিকদের স্বাধীনতার পরিপন্থী। গণমাধ্যমের হুমকিস্বরূপ। তাই আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি মানুষের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করছে বিধায় অবিলম্বে এই কালো আইন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। রাজপথে এই আইন বাতিলের জন্য যারা দাবি জানাচ্ছেন তাদেরকে সমর্থন জানাচ্ছি।

সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ নয়া দিগন্তকে বলেন, আইন তো জনগণের জন্যই। বর্তমান পরিস্থিতিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কিছুটা পরিবর্তন আনা যেতে পারে। সংশোধন প্রয়োজন। এমনভাবে এই পরিবর্তন আনতে হবে যাতে রাষ্ট্রের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রেখে সাধারণ জনগণের স্বার্থ রক্ষা করা যায়। কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হন। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে এবং কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ না করা হয় সেটাও লক্ষ্য রাখতে হবে।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল