মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫, বৈশাখ ১৬ ১৪৩২, ০১ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ব্রেকিং

ছয় দফা দাবিতে দেশের সব পলিটেকনিকে টানা শাটডাউনের ঘোষণা আদালতে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ওপর হামলা তিতাসে বিএনপির কাউন্সিল ঘিরে দুই পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ১০ হজযাত্রীদের জন্য মোবাইল অপারেটরদের বিশেষ রোমিং প্যাকেজ ঘোষণা অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকার আশ্বাস সিপিসির মে’র শুরুতেই শেখ হাসিনার বিচার: প্রধান উপদেষ্টা ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠা করতেই সংলাপ: আলী রীয়াজ সাভারে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩ আজ জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস চট্টগ্রাম ওয়াসার স্যুয়ারেজ প্রকল্পে সাশ্রয় ৪২০০ কোটি টাকা দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা চীনা বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ঢাকায় আসছেন ১০০ ব্যবসায়ী সংস্কার প্রশ্নে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্যের দাবি নুরের বিএনপির ৩১ দফা ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে: নিয়াজ খান সুনামগঞ্জ হাওরে বজ্রপাতে কলেজছাত্র নিহত গাজীপুরে গ্যাসের আগুন: দগ্ধ একজনের মৃত্যু দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ বালুচর স্যান্ডি কে ‘দখলে নিল’ বেইজিং কাশ্মীর সীমান্তে ফের গোলাগুলি ইরানি বন্দরে বিস্ফোরণ, মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৪০

লাইফস্টাইল

গ্রীষ্মকালীন ফল পর্ব – ৪: পেঁপে

 প্রকাশিত: ০৯:২৮, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

গ্রীষ্মকালীন ফল পর্ব – ৪: পেঁপে

গ্রীষ্মকালীন ফলের ভাণ্ডারে পেঁপে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ও পুষ্টিকর ফল। এর সোনালী রঙ, মিষ্টি স্বাদ এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলটি গ্রীষ্মের অসহনীয় গরমে সজীবতা ও স্বস্তি নিয়ে আসে। পেঁপে খেতে সুস্বাদু, সহজপাচ্য এবং এর নানা উপকারিতা শরীরকে চাঙ্গা করে।

পেঁপের উৎপত্তি ও প্রসার
পেঁপে মূলত মধ্য আমেরিকা, মেক্সিকো এবং দক্ষিণ আমেরিকার ফল। তবে, বর্তমানে এটি পৃথিবীর প্রায় সব জায়গায় চাষ করা হয়। বাংলাদেশে পেঁপে চাষের জন্য উপযুক্ত স্থানগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাজশাহী এবং খুলনা অঞ্চলের নাম উল্লেখযোগ্য। পেঁপে চাষ অনেক কৃষকের জন্য একটি লাভজনক ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পেঁপের জাত ও বৈচিত্র্য
বাংলাদেশে পেঁপের বেশ কিছু উন্নত জাত রয়েছে, যেমন:
কলম পেঁপে – আকারে বড় এবং রসালো, মিষ্টি স্বাদ।
হিমাচল পেঁপে – হালকা টক এবং খোসা পাতলা।
বাংলা পেঁপে – ত্বকে সোনালী রঙ, মিষ্টি স্বাদ।
তিন টাকার পেঁপে – ছোট আকার, তবে বেশ সুস্বাদু।
প্রতিটি জাতের পেঁপের স্বাদ, আকার এবং গুণগত মানে কিছুটা পার্থক্য থাকে, যা বাজারে ভিন্ন ভিন্ন দাম এবং চাহিদা তৈরি করে।

পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
পেঁপে শুধুমাত্র মিষ্টি ফলই নয়, এটি একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। এতে রয়েছে:
ভিটামিন সি – রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বক উজ্জ্বল রাখে।
পটাশিয়াম – রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ফলজ ফাইবার – পাচন প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
প্যাপেইন – একটি প্রাকৃতিক এনজাইম, যা হজমে সাহায্য করে এবং প্রোটিন ভাঙতে সহায়তা করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট – ত্বক ও শরীরের শূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
পেঁপে খেলে হজম ভালো হয় এবং এটি শরীরের জন্য বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা প্রদান করে। তবে, অতিরিক্ত পেঁপে খাওয়া ঠিক নয়, বিশেষ করে যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য।

চাষ ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব
পেঁপে চাষ বাংলাদেশের কৃষকদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক। এটি গ্রীষ্মকালীন ফল হিসেবে খুবই জনপ্রিয়, এবং সারা বছর ধরে বাজারে পাওয়া যায়। পেঁপে চাষ করে কৃষকরা বছরে ভাল আয় করতে পারেন। পেঁপে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রাও আর্ন করা সম্ভব। বাংলাদেশে পেঁপে চাষ কৃষক সমাজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উপাদান।

পেঁপে: সংস্কৃতি ও ভোজন
পেঁপে শুধুমাত্র একটি ফল নয়, এটি আমাদের ভোজনের অঙ্গ এবং সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে। পেঁপে কাঁচা অবস্থায় সালাদ, চাটনি বা তরকারি হিসেবে ব্যবহৃত হয়, আর পাকা পেঁপে ডেজার্ট বা স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়া হয়। এর মিষ্টি স্বাদ এবং সুষম পুষ্টি আমাদের খাদ্য তালিকায় নিয়মিতভাবে অন্তর্ভুক্ত থাকে। গ্রীষ্মকালীন উৎসব এবং পরিবারিক মিলনমেলায় পেঁপে খাওয়ার ঐতিহ্য রয়েছে।

পেঁপে গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে একটি অন্যতম সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। এর রসালো, মিষ্টি স্বাদ, সহজপাচ্যতা এবং পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরকে চাঙ্গা এবং সতেজ রাখে। তাছাড়া, পেঁপে খাওয়ার মাধ্যমে আমরা শুধুমাত্র স্বাদই উপভোগ করি না, এর নানা স্বাস্থ্য উপকারিতাও লাভ করি। গ্রীষ্মকালীন ফলের তালিকায় পেঁপে এক অমূল্য উপহার, যা আমাদের জীবনকে আরো রঙিন এবং সুস্থ করে তোলে।