মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫, ফাল্গুন ২০ ১৪৩১, ০৪ রমজান ১৪৪৬

ব্রেকিং

৫,৪৯৩ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার পতেঙ্গায় পুলিশকে মারধরের ঘটনায় জড়িত সবাই আটক: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নতুন উপদেষ্টা সি আর আবরার, পাচ্ছেন শিক্ষার দায়িত্ব হাসিনার ফাঁসির আগে নির্বাচন নিয়ে কথা নয়: সারজিস সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন করতে আইনের খসড়া হচ্ছে হাসিনার কন্যা পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ১৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ‘মানসিক প্রশান্তি’ সারিয়ে তুলছে খালেদা জিয়াকে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়সসীমা নিয়ে আপিলের পরবর্তী শুনানি ১২ মার্চ বাস চালককে লাঠি দিয়ে ‘পেটালেন ইউএনও’, প্রতিবাদে শ্রমিক বিক্ষোভ কেবল সরকার বদলে জনকল্যাণ সম্ভব নয়: নাহিদ তারেক রহমান-মামুনের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের রায় ৬ মার্চ গুমের শিকার ৩৩০ জনের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ: গুম সংক্রান্ত কম ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’ শহীদ হতে মায়ের দোয়া চেয়েছিলেন খুবাইব মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান রাশিয়ায়, বসছেন পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ করলেন ট্রাম্প

লাইফস্টাইল

জেন-জির ৫টি সম্পর্কের ভুল, যার জন্য ভবিষ্যতে অনুতাপ করবে

 প্রকাশিত: ১০:৫২, ৪ মার্চ ২০২৫

জেন-জির ৫টি সম্পর্কের ভুল, যার জন্য ভবিষ্যতে অনুতাপ করবে

সম্পর্ক আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি আমাদের মানসিক সুস্থতা, আত্মউন্নয়ন ও সুখের ওপর প্রভাব ফেলে। ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া জেনারেশন জেড বা জেন-জি এমন এক যুগে সম্পর্ক তৈরি করছে, যেখানে প্রযুক্তি, সামাজিক রীতিনীতি ও সামাজিক মাধ্যমের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটছে। যদিও অনেকেই সুস্থ ও সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলছেন, তবুও কিছু ভুল ভবিষ্যতে আফসোসের কারণ হতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে এসব ভুল চিহ্নিত করতে পারলে মন ভাঙার কষ্ট এড়ানো সম্ভব এবং সম্পর্ককে আরও সমৃদ্ধ করা যাবে।

এখানে পাঁচটি বড় সম্পর্কের ভুল দেওয়া হলো, যা বর্তমানে জেনারেশন জেড করছে এবং ভবিষ্যতে এর জন্য তারা অনুতপ্ত হতে পারে—

১. আত্ম-উন্নয়ন ও আত্ম-পরিচর্যা উপেক্ষা করা
সুস্থ সম্পর্ক গড়ে ওঠে তখনই, যখন উভয় ব্যক্তি মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন। কিন্তু অনেক জেনারেশন জেড নিজেদের যত্ন নেওয়া এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নের চেয়ে সঙ্গীর চাহিদাকে বেশি গুরুত্ব দেন। নিজস্ব স্বপ্ন, লক্ষ্য এবং মানসিক সুস্থতার দিকে মনোযোগ দেওয়া যেমন ব্যক্তিগতভাবে লাভজনক, তেমনি সম্পর্ককেও শক্তিশালী করে তোলে। তাই আত্ম-উন্নয়ন ও আত্ম-যত্নকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত, যাতে সম্পর্ক ভারসাম্যপূর্ণ ও সমর্থনশীল হয়।

২. অন্যদের সম্পর্কের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের তুলনা করা
সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় নিখুঁত সম্পর্কের ছবি দেখে সহজেই নিজেদের সম্পর্কের সঙ্গে তুলনা করে হতাশ হয়ে পড়ছে জেনারেশন জেড। কিন্তু এসব অনলাইন ছবির পেছনের বাস্তবতা অনেক সময়ই ভিন্ন। প্রতিটি সম্পর্কের নিজস্ব স্বকীয়তা ও চ্যালেঞ্জ থাকে। তাই অন্যদের সঙ্গে তুলনা না করে, নিজের সম্পর্কের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং এর সৌন্দর্য ও অনন্যতাকে গ্রহণ করাই শ্রেয়।

৩. অতিরিক্ত দ্রুত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া
আজকের সময়ে ডেটিং অ্যাপ ও দ্রুত যোগাযোগের সুযোগের ফলে সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অনেকেই তাড়াহুড়া করেন। সম্পর্কের যথাযথ ভিত্তি গড়ে ওঠার আগেই লেবেল লাগানো বা গভীরভাবে জড়িয়ে পড়া ভবিষ্যতে হতাশার কারণ হতে পারে। একটি সম্পর্ক গঠনের জন্য সময় নেওয়া, একে অপরকে জানা এবং মূল্যবোধ বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ধৈর্য ধরার এবং স্বাভাবিকভাবে সম্পর্ক বিকশিত হতে দেওয়ার প্রয়োজন।

৪. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বাস্তব সংযোগের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া
ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, স্ন্যাপচ্যাটের যুগে ভার্চুয়াল যোগাযোগ অনেক বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে, যার ফলে বাস্তব জীবনের সম্পর্ক দুর্বল হয়ে পড়ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার লাইক, কমেন্ট, ও ফলোয়ার সংখ্যা সাময়িক আনন্দ দিলেও, তা প্রকৃত সম্পর্কের গভীরতা বা মানসিক সমর্থন দিতে পারে না। তাই ভার্চুয়াল জগৎ এবং বাস্তব জীবনের সম্পর্কের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখা প্রয়োজন।

৫. ভুল প্রত্যাশা ও অসম্পূর্ণ যোগাযোগ
অনেক সময় জেনারেশন জেড স্পষ্টভাবে নিজেদের চাওয়া বা অনুভূতি প্রকাশ না করেই সম্পর্ক পরিচালনা করে, যা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করে। সঠিক যোগাযোগের অভাব অনেক সম্পর্কের মূল সমস্যা। সুস্থ সম্পর্কের জন্য উভয়ের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা ও বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা রাখা জরুরি।

শেষকথা
সম্পর্ক মানেই শুধু ভালোবাসা নয়, এটি বোঝাপড়া, শ্রদ্ধা ও পারস্পরিক উন্নতির ওপর ভিত্তি করে টিকে থাকে। যদি জেনারেশন জেড এই সাধারণ ভুলগুলো এড়িয়ে চলে, তাহলে তারা ভবিষ্যতে আরও পরিপূর্ণ ও সুখী সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবে।