মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ানো ও মানসিক অবক্ষয়ের ঝুঁকি কমানোর ৫টি সহজ উপায়

১. ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলুন
দীর্ঘদিনের গবেষণা অনুযায়ী, ইতিবাচক ও পরিপূর্ণ সম্পর্ক আমাদের দীর্ঘ জীবন ও মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্যের মূল চাবিকাঠি। বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, যা মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করে। বিপরীতে, একাকিত্ব ও বিষণ্নতা আলঝেইমার, হৃদ্রোগ এবং অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
২. শরীরের গঠনের দিকে মনোযোগ দিন, শুধু ওজন নয়
বাড়তি ভুঁড়ি বা পেটের চর্বি মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি কেন্দ্রকে সংকুচিত করতে পারে এবং আলঝেইমারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, শরীরের মেদ কমিয়ে পেশির পরিমাণ বাড়ানো হলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত হয়। এজন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
৩. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন
অতিরিক্ত চিনি বা ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং স্মৃতিশক্তি দুর্বল করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিনের খাবারের মাধ্যমে রক্তে শর্করার ওঠানামা নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দেন। এজন্য খাদ্য তালিকায় ফাইবার, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং কম শর্করাযুক্ত খাবার রাখার পাশাপাশি শারীরিক পরিশ্রম বাড়ানো দরকার।
৪. কার্ডিওর পাশাপাশি শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম করুন
শুধু কার্ডিও নয়, নিয়মিত শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম যেমন ডেড লিফট, স্কোয়াট, লাঞ্চ ও প্ল্যাঙ্ক করলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ভালো থাকে। এই ব্যায়ামগুলো মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়ায়, নতুন স্নায়ুকোষ তৈরি করতে সাহায্য করে এবং আলঝেইমার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
৫. মানসিক চাপ কমান এবং শিথিল থাকুন
অতিরিক্ত মানসিক চাপ মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষ ধ্বংস করে এবং দীর্ঘমেয়াদে স্মৃতিশক্তি দুর্বল করতে পারে। তাই ধ্যান, যোগব্যায়াম, শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া জরুরি। যদি চাপ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে, তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
এই অভ্যাসগুলো অনুসরণ করলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়বে এবং ভবিষ্যতে মানসিক অবক্ষয়ের ঝুঁকি কমবে।