পেট খালি রাখলেই বিপদ
মধ্যাহ্নভোজের সঠিক সময় নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সকালের নাস্তার সময় এবং শরীরের চাহিদা। স্বাভাবিক নিয়মে সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে নাস্তা করলে মধ্যাহ্নভোজের জন্য ১২টা থেকে ২টার মধ্যে সময় নির্ধারণ করা ভালো। তবে শরীরের সিগন্যাল বা ক্ষুধার অনুভূতি বুঝে খাওয়া সবচেয়ে জরুরি।
মধ্যাহ্নভোজের সময় নিয়ে পুষ্টিবিদদের পরামর্শ:
৩-৫ ঘণ্টার ব্যবধান:
সকালের নাস্তার পর অন্তত ৩ থেকে ৫ ঘণ্টার ব্যবধান রাখা উচিত। নাস্তা যদি ৮টায় হয়, তবে মধ্যাহ্নভোজ ১২টা থেকে ১টার মধ্যে করা ভালো।
ক্ষুধার অনুভূতিতে গুরুত্ব দিন:
সময় অনুযায়ী ক্ষুধা অনুভূত হলে অপেক্ষা না করে খেয়ে নিন। ক্ষুধার সময় দীর্ঘায়িত করলে অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
টুকটাক কিছু খাওয়ার অভ্যাস:
কাজের ব্যস্ততায় নির্দিষ্ট সময়ে মধ্যাহ্নভোজ করা সম্ভব না হলে হালকা খাবার (যেমন ফল, বাদাম বা হালকা স্ন্যাকস) খেয়ে নিন। এটি পেট খালি থাকার সমস্যা থেকে রক্ষা করবে।
কেন মধ্যাহ্নভোজ নির্দিষ্ট সময়ে করা জরুরি:
- পাচনতন্ত্রের সঠিক কার্যক্রম: অনিয়মিত খাওয়ার সময় পাকস্থলীর অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়ে, যা গ্যাস্ট্রিক বা আলসারের কারণ হতে পারে।
- উচ্চ কর্মক্ষমতা বজায় রাখা: সঠিক সময়ে খেলে শরীর ও মস্তিষ্কের শক্তি বজায় থাকে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ: অনিয়মিত খাওয়া বা বেশি ক্ষুধা পেলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়, যা ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
আপনার কাজের চাপ যদি বেশি হয়, তবে আপনার দৈনন্দিন রুটিনে হালকা এবং সহজ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন এবং শরীরের চাহিদা অনুযায়ী সময়মতো খাওয়ার চেষ্টা করুন।