বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্রেকিং

শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশে সহায়ক শিক্ষাব্যবস্থা দরকার : ড. মুহাম্মদ ইউনূস কাউকে নির্বাচনে ‘আনতে চাই’ বলিনি: আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে ফখরুল ডেঙ্গু: একদিনে ভর্তি ১০৩৪ রোগী, মৃত্যু ৫ জনের আনিসুল হক ও দীপু মনিসহ সাবেক ৫ মন্ত্রী নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস জন্মদিনের প্রথম প্রহরে তারেক পেয়েছেন মায়ের ফোন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক পুলিশ প্রধানসহ ৮ জন জাবির ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় বরখাস্ত ৪, ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা সরবরাহ-পর্যবেক্ষণ জোরদারের মাধ্যমে সিন্ডিকেট অকার্যকর করা হবে: উপদেষ্টা প্রতি ইসরায়েলি বন্দির মুক্তিতে পাঁচ মিলিয়ন ডলার দেবেন নেতানিয়াহ লেবাননে সংঘাতে ২শ’র ও বেশি শিশু নিহত : ইউনিসেফ

লাইফস্টাইল

একজন আদর্শবান মুমিনের জীবন কেমন হওয়া উচিৎ

 প্রকাশিত: ১৯:৫১, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

একজন আদর্শবান মুমিনের জীবন কেমন হওয়া উচিৎ

আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে ইরশাদ করেন, ‘ইসলাম-ই আল্লাহর কাছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য জীবন ব্যবস্থা। আর তা তখনই মানুষের জীবনে বাস্তবায়িত হয়, যখন মানুষ পরিপূর্ণভাবে আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পিত করে।

বর্তমান সময়ে একদল লোক দেখা যায়, যারা ইসলামকে সঠিকভাবে বুঝার চেষ্টা করে না। তারা ইসলামকে নিতান্তই ব্যক্তিগত বিষয় মনে করে। প্রকৃতার্থে ইসলাম এমন জীবন ব্যবস্থা নয়।

বরং ইসলাম হলো পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। যেখানে কোনো বিষয়ের ঘাটতি নেই। যা মানুষকে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অথনৈতিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জীবন পরিচালনায় তার বিধান বা জীবন ব্যবস্থা পেশ করে। ইসলাম এমনই এক জীবন বিধান, যা পরিপূর্ণ পরিণত> যুক্তিসঙ্গত> বাস্তবের অগ্নি পরীক্ষায় বার বার পরীক্ষিত জীবন বিধান।মানব জীবনের এমন কোনো দিক বা বিষয় নেই, যা ইসলামের আওতাধীন নয়। পবিত্র কুরআনুল কারিমে ইসলাম মানুষের জীবনের সেই পরিপূর্ণতার কথা বার বার ঘোষণা করে।

এখন প্রশ্ন হলো, ‘আল্লাহর কাছে কোন ইসলাম গ্রহণযোগ্য নয়?’যারা ব্যক্তি জীবনে ইসলামকে মানতে রাজি কিন্তু সমাজ ও জাতীয় জীবনে ইসলামের বিধান প্রতিফলন, বাস্তবায়ন দেখতে নারাজ।- যারা ইসলামের কিছু অংশের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং মেনে নেয় আর কিছু অংশের প্রতি অবিশ্বাস করে এবং জীবনে বাস্তবায়ন কিংবা মেনে নিতে চায় না।

আল্লাহ তাআলার কাছে এ রকম খণ্ডিত ইসলাম কখনো গ্রহণযোগ্য নয়। ইসলামের কিছু বিধান খুব মন দিয়ে মেনে নেবে আর কিছু অংশ ছেড়ে দেবে। এ ধরনের ইসলাম পালন কোনোভাবেই আল্লাহর কাছে গ্রহণ যোগ্য নয়।

বরং যদি কেউ ইসলামের কোনো বিষয়ে আপত্তি করে কিংবা মেনে নিতে না পারে; সে ব্যক্তির ঈমানদার হওয়ার ব্যাপারেই প্রশ্ন এসে যায়।সুতরাং সাবধান!বর্তমান সময়ে আধুনিকতার নামে ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী হয়ে কোনো মুসলমানের সেকুলারিজম তথা ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস স্থাপনের কোনো সুযোগ নেই।

মনে রাখতে হবে ইসলাম গ্রহণকারী মুসলিম আল্লাহর বিধানের বাইরে অন্য কারো কাছে আত্মসমর্পণ করবে না। ইসলামকে একমাত্র জীবন বিধান ঘোষণার পর আল্লাহ তাআলা অন্য আয়াতে ঘোষনা করেন-‘তারা কি আল্লাহর দ্বীনের পরিবর্তে অন্য দ্বীন তালাশ করছে? আর আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে স্বেচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক সবই আল্লাহর অনুগত হয়েছে আর তার দিকেই ফিরে যেতে হবে।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ৮৩)

সুতরাং পরিপূর্ণ, যুক্তিসম্মত ও বাস্তবের অগ্নি পরীক্ষায় প্রমাণিত ইসলামের প্রতি নিজেদের নিয়োজিত রাখতে কুরআনের এ নির্দেশ মতো জীবন গঠন করা মুসলিম উম্মাহর জন্য একান্ত আবশ্যক। আর তাহলো-‘রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাদের জন্য যা নিয়ে এসেছেন তা গ্রহণ করো আর যে কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তা থেকে বিরত থাক।’ (সুরা হাশর : আয়াত ৭)

তাই ইসলামের একান্ত দাবি হলো- মানুষের ব্যক্তি, পরিবার সমাজ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক জীবন পরিচালনা করবে। কেননা জীবন পরিচালনায় ইসলামের বাইরে কোনো কাজই আল্লাহ তাআলার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জীবন ব্যবস্থা হিসেবে ইসলামকে গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। ইসলাম বহির্ভূত যে কোনো কাজ বা বিষয়কে পরিহার করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Online News Portal 24