মঙ্গলবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, অগ্রাহায়ণ ১৯ ১৪৩১, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ব্রেকিং

জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে সংলাপে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান তারেক রহমানের ভারতীয় দূতাবাস ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থান অভিন্ন আকাঙ্ক্ষায় কাজ করে যেতে চাই: প্রণয় ভার্মা আগরতলা মিশনে কনস্যুলার সেবা বন্ধ এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৫০০ ছাড়াল টঙ্গীতে শেষ হলো ৫ দিনের জোড় ইজতেমা সেবা খাতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত পাসপোর্ট খাত: টিআইবি পুলিশকে ‘রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত’ দেখতে চায় ৮৮.৭% মানুষ চিন্ময় কৃষ্ণের পক্ষে ছিলেন না আইনজীবী, পেছাল জামিন শুনানি হিন্দুত্ববাদী ভারত সংখ্যালঘু নির্যাতনের আঁতুড়ঘর: রিজভী সীমান্তে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে বিজিবি প্রস্তুত ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধে হাইকোর্টে রিট

ইসলাম

সূরা ফাতিহার ‍গুরুত্ব ও ফজিলত

 আপডেট: ২০:৫১, ১৯ ডিসেম্বর ২০২১

সূরা ফাতিহার ‍গুরুত্ব ও ফজিলত

সূরা ফাতিহা পবিত্র কুরআনের প্রথম সূরা। উম্মুল কুরআন বা কুরআনের মা হিসেবে পরিচিত এ সূরাটি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে আমরা ত্রিশ বারের বেশি পাঠ করি। 

সূরা ফাতিহার পাঠ ছাড়া কোনো নামাজ আদায় সম্পূর্ণ হয়না। 

এখানে সূরা ফাতিহার গুরুত্ব সম্পর্কে পাঁচটি হাদীস উল্লেখ করা হলো।

১. 
হযরত আবু সাঈদ আল-মুয়াল্লা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, “আমি কি তোমাকে বলবো না কুরআনের সর্বোচ্চ মর্যাদাবান সূরা কোনটি? সেটি হলো ‘আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন’ (সূরা ফাতিহা) যেটি সাত আয়াতের সমষ্টি এবং কুরআন কারীমের অংশ, যা আমাকে দান করা হয়েছে।” (বুখারী)

২. 
হযরত উবাদা ইবনে সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি তার নামাজে সূরা ফাতিহা পাঠ করবেনা, তার নামাজ কবুল হবেনা।” (বুখারী)

৩. 
হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, “বারবার পাঠ করা এই সাত আয়াত (সূরা ফাতিহা) হলো কুরআনের মা (উম্মুল কুরআন) ও কুরআনের সারাংশ।” (বুখারী)

৪.
হযরত আবু সাঈদ আল-খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এর কিছু সাহাবী একবার এক বেদুইন গোত্রের কাছে গেলে তারা তাদের মেহমানদারী করা বা কিছু খেতে দেওয়া থেকে বিরত থাকে। সেই গোত্রের নেতা যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে, তখন তারা রাসূলের সাহাবীদের কাছে এসে জিজ্ঞেস করে, “তোমাদের কাছে কোনো ঔষধ আছে কি?” তারা তখন উত্তর দেন, “হ্যা, আছে। কিন্তু তোমরা আমাদের মেহমান হিসেবে গ্রহণ করোনি বা কিছু খেতেও দাওনি। সুতরাং তোমরা কিছু না দেওয়া পর্যন্ত আমরা কিছুই করবোনা।” তারা তখন একটি ভেড়া দিলে রাসূলের সাহাবীদের মধ্যে একজন গিয়ে সূরা ফাতিহা তেলওয়াত করে আসেন এবং অসুস্থ ব্যক্তিটি সুস্থ হয়ে যায়। 

ঐ সাহাবীরা এসে রাসূল (সা.) কে ঘটনাটি বললে রাসূল (সা.) বলেন, “কিভাবে জানলে এটি (সূরা ফাতিহা) রোগের প্রতিষেধক?” (তিরমিজি)

৫.
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এর সাথে একবার জিবরাইল (আ.) থাকা অবস্থায় আকাশ থেকে তিনি এক শব্দ শুনলেন। জিবরাইল (আ.) তার দৃষ্টি আকাশে তুলে বললেন, “আসমানের একটি দরজা খোলা হয়েছে এবং এটি আগে কখনো খোলা হয়নি।”

সে দরজা দিয়ে একজন ফেরেশতা রাসূল (সা.) এর কাছে এসে বললেন, “আপনাকে দেওয়া দুই আলোর (নূর) সুসংবাদ গ্রহণ করুন, যা আপনার পূর্বের কোনো নবী-রাসূলকে দেওয়া হয়নি: কিতাবের সূচনা (সূরা ফাতিহা) এবং আল-বাকারার শেষ আয়াতসমূহ। এগুলো তেলওয়াত করে এর কল্যাণ থেকে কখনোই আপনি বঞ্চিত হবেননা।” (মুসলিম)

অনলাইন নিউজ পোর্টাল