নতুন বছরের শুরুতে যে দোয়া পড়বেন

নতুন বছরের শুরুতে বরকত ও শান্তির কামনায় একটি সুন্দর দোয়া
নতুন বছরের শুরুতে বরকত ও কল্যাণ কামনায় একটি দোয়া পাঠ করার বিষয়টি ইসলামী ঐতিহ্যে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত। হিজরি নতুন বছর বা নতুন মাসের শুরুতে সাহাবায়ে কেরাম যে দোয়া পাঠ করতেন, তা আমাদের জন্য অনুসরণযোগ্য।
সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে হিশাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত, সাহাবায়ে কেরাম নতুন মাস বা বছরের সূচনায় নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়তেন:
اللَّهُمَّ أَدْخِلْهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيمَانِ وَالسَّلَامَةِ وَالْإِسْلَامِ وَرِضْوَانٍ مِنَ الرَّحْمَنِ وَجَوَارٍ مِنَ الشَّيْطَانِ
উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা আদখিলহু আলাইনা বিল-আমনি ওয়াল ইমানি ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলামি ওয়া রিদওয়ানিম মিনার রাহমানি ওয়া জাওয়ারিম মিনাশ শায়ত্বানি।
অর্থ:
হে আল্লাহ! আপনি আমাদের মাঝে এই মাস/বছরের আগমন ঘটান শান্তি, নিরাপত্তা এবং ইমান ও ইসলামের ওপর অবিচলতার সাথে, শয়তান থেকে রক্ষা এবং আপনার সন্তুষ্টিসহ।
(সূত্র: মু'জামুস সাহাবাহ, হাদিস: ১৫৩৯)
ইসলামী শরিয়তে হিজরি চন্দ্র ক্যালেন্ডারকে মুসলমানদের ধর্মীয় ক্যালেন্ডার হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত ও বিধান এই ক্যালেন্ডারের ভিত্তিতে পালন করা হয়।
কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, "তারা আপনাকে নতুন চাঁদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। আপনি বলুন, তা মানুষের জন্য এবং হজের সময় নির্ধারণের মাধ্যম।"
— (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৯)
হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম চন্দ্র ক্যালেন্ডারের অনুসরণ করতেন এবং মাসের শুরুতে নতুন চাঁদ দেখে দোয়া পাঠ করতেন। উপরোক্ত দোয়াটিও তাঁদের আমলের অংশ ছিল।
যেহেতু আমাদের দেশে বাংলা ক্যালেন্ডারও বৈষয়িক কাজে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়, তাই বাংলা নতুন বছরের শুরুতেও কল্যাণের প্রত্যাশায় এই দোয়াটি পাঠ করা যেতে পারে।