গাজার জন্য আমাদের করণীয়

যেখানে আজ সমগ্র বিশ্ব স্তব্ধ, বাকরুদ্ধ। হতাশা ও নিরাশার ঘোর অন্ধকারে নিস্তব্ধ হয়ে পড়েছে মানবতা। বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থাগুলো নির্বিকার, নীরব। মুসলিম নিধনের বিরুদ্ধে মুখ না খুলে যেন তারা এক প্রকার তাচ্ছিল্যের আশ্রয়েই আশ্রিত। গাজায় নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে নারী, শিশু ও নিরপরাধ মানুষদের, আর আমরা মুনাফিকতার গ্লানিতে নীরব দর্শক হয়ে বসে আছি।
অথচ নবীজি (ﷺ) বলেন, ‘মুসলিমগণ সকলে মিলে এক ব্যক্তিতুল্য, যার চোখ অসুস্থ হলে সারা শরীর অসুস্থ হয়ে যায় এবং মাথা অসুস্থ হলে সারা শরীর অসুস্থ হয়ে যায়’ (সহীহ মুসলিম: ২৫৮৬; মুসনাদে আহমাদ: ১৮৩৯৩; বায়হাকী, শুআবুল ঈমান ৭২০২)
হে প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা! এখনই সময়, আমাদের ইমানী দায়িত্ব পালনের। আমাদের যাকাত, সদাকা এবং দানের মাধ্যমে গাজায় ক্ষতবিক্ষত মুসলিম ভাই-বোনদের পাশে দাঁড়ানো এখন শ্রেষ্ঠ ইবাদত।
মনে রাখবেন, আজ যারা নিপীড়িত, নির্যাতিত কাল তাদের জায়গায় আপনি কিংবা আমি থাকতে পারি না, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
“তোমরা আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করো, নিজেদের ধ্বংসের দিকে নিক্ষেপ করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন”
(সূরা আল-বাকারা: ১৯৫)
অন্যত্র বলেন,
যারা নিজেদের সম্পদ দিনে ও রাতে ব্যয় করে প্রকাশ্যেও এবং গোপনেও, তারা তাদের প্রতিপালকের কাছে নিজেদের সওয়াব পাবে এবং তাদের কোনও ভয় থাকবে না আর তারা কোনও দুঃখও পাবে না।
(সূরা আল-বাকারা: ২৭৪)
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন-
“মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তার প্রতি জুলুম করবে না, তাকে অসহায়ও ছেড়ে দেবে না। যে তার মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজনে সাহায্যে এগিয়ে আসে, আল্লাহ তাআলা তার প্রয়োজন পূরণে সাহায্য করবেন।”
(সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৪৪২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৬৪)
সারা বিশ্বের কুফরি শক্তিগুলো আজ মুসলিম নিধনের জন্য এক দণ্ডায়মান প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছে, আর আমরা উম্মতে মুহাম্মাদী আজও বিভেদের দেয়ালে আবদ্ধ।
আসুন! আমরা দল-মত নির্বিশেষে এক কাতারে শামিল হই। গাজা ও ফিলিস্তিনের মুসলিম ভাইদের পাশে দাঁড়াই। তাদের শোকাহত হৃদয়ের কিছুটা হলেও ভার লাঘবের চেষ্টা করি। দু‘আ, দান এবং ইসরাঈলী পণ্য বয়কট করে ঈমানী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই।
নবীজি (ﷺ) বলেন-
তোমাদের কেউ যদি অন্যায় কাজ দেখে, তাহলে সে যেন হাত দ্বারা এর সংশোধন করে দেয়। যদি এর ক্ষমতা না থাকে, তাহলে মুখের দ্বারা, যদি তাও সম্ভব না হয়, তাহলে অন্তর দ্বারা (উক্ত কাজকে ঘৃণা করবে), আর এটাই ঈমানের নিম্নতম স্তর। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৯)
আলহামদুলিল্লাহ! নির্ভরযোগ্য সূত্রে গাজায় টাকা পাঠানোর মাধ্যম রয়েছে।
সুতরাং নিম্নোক্ত যেকোন পদ্ধতিতে “মুসলিম বাংলা ফাউন্ডেশন” এর মাধ্যমে গাজাবাসীদের জন্য ত্রাণের টাকা পাঠাতে পারেন।
১) মুসলিম বাংলা অ্যাপের "যাকাত" সেকশনে সহজে যাকাত / সাদাকার টাকা প্রেরণ করুন।
২) এই লিঙ্কে যেয়ে পাঠাতে পারেন https://muslimbangla.org/#donation-section
৩) রকেট / নগদ / বিকাশ মার্চেন্ট নাম্বার: 01973761564 ( সেন্ড মানি হবে না, পেমেন্ট অপশনে যান)
“Gaza” নোট দিয়ে টাকা পাঠালে ভালো হয়।
অ্যাপের লিঙ্কঃ
অ্যান্ড্রয়েডঃ-https://play.google.com/store/apps/details?id=com.tos.namajtime
মুসলিম বাংলা