সব গন্তব্য মিলছে ঈদগাহ ময়দানে

পুরো এক মাস রোজা শেষে ঈদের সকালে মুসলমানরা ছুটছেন ঈদের নামাজে। ঢাকায় ঈদের প্রধান জামাত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে।
রোববার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় সোমবার বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। ঢাকায় হাই কোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রধান ঈদ জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক, রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, সচিবসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়বেন।
ঈদগাহের প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক। ক্বারী হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
সকালের সূর্যদয়ের সঙ্গে সঙ্গে দূর দূরান্ত থেকে সব বয়সীরা ছুটে আসছেন ঈদগাহ ময়দানে। সবার গায়ে নতুন পাঞ্জাবি, মাথায় টুপি। অনেকের হাতে জায়নামাজ আর পানির বোতল।
শিশু কিশোররা আসছে তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে। হাতে হাত ধরে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তারা মাঠে প্রবেশ করছেন।
অনেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হাজির হয়েছেন মাঠে। সঙ্গে বড় বিছানা চাদর ও ম্যাট নিয়ে এসেছেন।
সবার সুবিধার্থে কার্পেটের ওপর সাদা রঙের কাপড় বিছিয়ে নামাজের জায়গা প্রস্তুত করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
জাতীয় ঈদগা মাঠে এবারো প্রবেশ করতে হচ্ছে সারিবদ্ধভাবে। প্রধান ফটকে বসানো আর্চওয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে নিরাপত্তা বিধি পালন করে।
পুলিশ আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, জায়নামাজ আর ওয়ালেট ছাড়া সঙ্গে কিছু আনা যাবে না। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বৃষ্টির লক্ষণ নেই, ফলে ছাতার প্রয়োজন হবে না।
ঈদ গা ময়দানে সহজে প্রবেশ ও বের হতে মাঠের আশপাশ মৎস্য ভবন, বঙ্গবাজর, পল্টন, জিপিও মোড় ঘিরে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী।
এ বলয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখতে বেরিকেড দিয়েছে পুলিশ। পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন, বঙ্গবাজার, দোয়েল চত্বর মোড়ে গাড়ি চলার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঈদ গা ময়দানে যেতে বাকি পথটুকু হেঁটে যেতে হচ্ছে।
ঈদ গা ময়দানে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের নামাজের জন্য পৃথক ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্দা দিয়ে পৃথক করে মাঠের দক্ষিণ অংশে ভিন্ন প্রবেশ দুয়ার দিয়ে নারীরা ঈদ জামাতে অংশ নিতে পারছেন।
মাঠের এক কোনায় অজুর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এ মাঠে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মানুষ ঈদের জামাতে অংশ নিতে পারবেন বলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।