শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ফাল্গুন ১০ ১৪৩১, ২৩ শা'বান ১৪৪৬

ইসলাম

ইজতেমায় এসেছেন ৪৯ দেশের অতিথি, আসরের পর যৌতুকবিহীন বিয়ে

 প্রকাশিত: ১৪:২১, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ইজতেমায় এসেছেন ৪৯ দেশের অতিথি, আসরের পর যৌতুকবিহীন বিয়ে

টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিন ফজরের নামাজের পর ভারতের মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ (নিজামুদ্দিন) এর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দিনের কর্মসূচি।

এবার দ্বিতীয় পর্বে যোগ দিয়েছেন ৪৯টি দেশের প্রায় দেড় হাজার অতিথি। এ ছাড়া শনিবার বাদ আসর টঙ্গীর ইজতেমার ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে যৌতুকবিহীন বিয়ে।

ময়দানে আগতদের ইজতেমার কর্মসূচি পালন ছাড়াও শবে বরাতের সওয়াব লাভের আশায় রাতভর ইবাদতে মশগুল ছিলেন সবাই। পরে শনিবার ভোর থেকে শুরু হয় আম বয়ান।

শুক্রবার ইজতেমা ময়দানে লাখ লাখ মানুষের সঙ্গে শবে বরাতের ইবাদত করার সুযোগ নিতে জুমার নামাজে অংশ নেওয়া অনেকেই স্বজনদের সঙ্গে সেখানে রাতযাপন করেছেন।

বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দেওয়া ময়মনসিংহের আবু সালেহ বলেন, তার নিকটাত্মীয় চিল্লাবদ্ধ হয়ে ইজতেমা ময়দানে এসেছেন। জুমার নামাজে অংশ নিতে বৃহস্পতিবারই ইজতেমা ময়দানে তার কাছে এসেছিলেন তিনি।

দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি

বিশ্ব ইজতেমার নিজামুদ্দিন (সাদ) অনুসারী তাবলিগ জামাতের সমন্বয়কারী মো. সায়েম বলেন, ফজরে বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ (দিল্লি নিজামউদ্দিন)। তার বয়ান তরজমা করেন বাংলাদেশি মাওলানা ওসামা ইসলাম।

সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে তালিমের মওজু (ফজিলত ও আদব) ভারতের মুফতি ইয়াকুব (নিজামুদ্দিন) সকাল ১০টা থেকে খিত্তায় খিত্তায় তালিম, জোহরের নামাজের পরে আরব মেহমান, আসরের পর ভারতের হাফেজ মঞ্জুর (নিজামুদ্দিন) বয়ান করবেন। আসরের বয়ানের পরে যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

মাগরিবের পর ভারতের মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ বয়ান করবেন। তার বয়ান বাংলায় তরজমা করবেন বাংলাদেশি মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ।

ইজতেমায় ৪৯ দেশের ১৪৪৯ অতিথি

ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে শুক্রবার ৪৯টি দেশের ১৪৪৯ জন অতিথি যোগ দিয়েছেন।

মিডিয়া সমন্বয়ক সায়েম জানান, শুক্রবার রাত ১০টা পর্যন্ত ইজতেমায় নিজামুদ্দিনের অনুসারী বিদেশি মেহমানরা যোগ দিয়েছেন। ময়দানে বিদেশিদের জন্য নির্ধারিত কামরায় অবস্থান নিয়েছেন তারা। আরও বিদেশি অতিথি পথে আছেন। আখেরি মোনাজাতের আগে তারা ইজতেমায় পৌঁছাবেন।

প্রথম পর্বের ইজতেমা ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। আর দ্বিতীয় পর্ব শেষ হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে।