টঙ্গীতে জোড় ইজতেমার আখেরি মোনাজাত মঙ্গলবার সকালে
গাজীপুরের টঙ্গী তুরাগ নদের তীরে তাবলিগ জামাতের শূরায়ে নেজামের (জুবায়েরপন্থি) ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমার আখেরি মোনাজাত কাল মঙ্গলবার। এদিন সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে যেকোনো এক সময় মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
কাঙিক্ষত মোনাজাত পরিচালনা করবেন শূরায়ে নেজামের শীর্ষ মুরব্বি ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। মোনাজাত শেষে সমবেত চিল্লাধারী মুসল্লিরা দেশ-বিদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দ্বীনের দাওয়াতি কাজে ছড়িয়ে পড়বেন।
ফের বিশ্ব ইজতেমায় সময় তারা ময়দানে সমবেত হবেন। সোমবার তাসবিহ-তাহলিল, জিকির-আসকার ও নফল ইবাদত বন্দেগির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে জোড় ইজতেমার চতুর্থ দিন।
জোড় ইজতেমায় আসা আরও দুই মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জোড় ইজতেমায় মোট ৪ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শূরায়ে নেজামের (জুবায়েরপন্থি) গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
সোমবার যারা বয়ান করলেন: বাদ ফজর সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইসমাইল গোদরা। সকাল ১০টায় ওলামাদের উদ্দেশে বিশেষ বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। একই সময়ে আম-মুসল্লিদের উদ্দেশে বয়ান করেন ভারতের বেঙ্গালুরের মুরুব্বি ফারুক।
বাদ আসর বয়ান করেন পাকিস্তানের মুরুব্বি ডা. নওশাদ। বাদ মাগরিব বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। তার বয়ানের বাংলা তরজমা করেন বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আহমেদ। মঙ্গলবার বাদ ফজর ভারতের মাওলানা আব্দুর রহমানের আম-বয়ানের মধ্য দিয়ে পঞ্চম দিনের কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও দুই মুসল্লির মৃত্যু: ইজতেমা ময়দানে আসা আরও দুই মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। রোববার বিকাল ও সন্ধ্যায় তারা মারা যান। মৃতরা হলেন- দিনাজপুর জেলা সদরের মোস্তাপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে কাউসার আলী (২৮) ও সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের শহিদুল ইসলাম (৬৫)। রোববার তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে আশুলিয়ার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এ নিয়ে গত চার দিনে ৪ জন মুসল্লির মৃত্যু হলো।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শূরায়ে নেজামের ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা।