রোববার ২৭ এপ্রিল ২০২৫, বৈশাখ ১৪ ১৪৩২, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

ব্রেকিং

ইসলাম

সাহরি না খেয়ে রোজা রাখলে কি তার রোজা আদায় হবে?

 প্রকাশিত: ০৯:৪৭, ২৫ মার্চ ২০২২

সাহরি না খেয়ে রোজা রাখলে কি তার রোজা আদায় হবে?

আর মাত্র কয়েকদিন পর রোজা। রোজা রাখার নিয়তে সেহরি খাওয়া সুন্নত। সেহরি অত্যন্ত বরকতময় খাবার। তবে কেউ যদি সাহরি না খেয়ে রোজা রাখে, তাহলে কি তার রোজা আদায় হবে?

উত্তরে হ্যাঁ, সেহরি না খেয়ে রোজা রাখা জায়েজ হবে, এতে কোনো আপত্তি নেই। তবে সেহরির সময় কিছু খেয়ে নেয়া বরকতময়। আল্লাহর নবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সেহরি খাও! কেননা সেহরিতে আল্লাহ তায়ালা বরকত রেখেছেন।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯২৩; মুসলিম, হাদিস : ১০৯৫; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৬৯৩)

পেট ভরে যে খেতে হবে, এমন কোনো শর্ত নেই। মাছ, দুধ বা খেজুর কিংবা হালকা কিছু খেলেও সেহরি খাওয়া হয়। কেউ যদি সেহরিতে উঠতে না পারে, তাহলে তাকেও রোজা রাখতে হবে। সেহরি খাওয়া মুস্তাহাব ও বরকত। (বিনায়া শরহে হেদায়া : ৪/১০৩)

সেহরি খাওয়ার অনেক ফজিলত হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আহলে কিতাব তথা ইহুদি-খ্রিস্টান আর মুসলমানদের রোজার মধ্যে শুধু সেহরি খাওয়াই পার্থক্য। অর্থাৎ তারা সেহরি খায় না আর আমরা সেহরি খাই।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৮৪৩; তিরমিজি, হাদিস : ৬৪২)

এছাড়াও বিলম্বে সেহরি খাওয়া উত্তম। আগে খাওয়া হয়ে গেলে- শেষ সময়ে কিছু চা, পানি, পান ইত্যাদি খেলেও সেহরির ফজিলত অর্জিত হবে। (হেদায়া : খণ্ড : ০১, পৃষ্ঠা : ১৮৬)

পেটে ক্ষুধা না থাকলে সেহরির সময় দুই-একটি খেজুর খেয়ে নেয়া উত্তম বা অন্য কোনো জিনিস খেয়ে নেবে। (হেদায়া : খণ্ড : ০১, পৃষ্ঠা : ১৮৬)

এছাড়াও বিলম্বে সেহরি খাওয়া উত্তম। আগে খাওয়া হয়ে গেলে- শেষ সময়ে কিছু চা, পানি, পান ইত্যাদি খেলেও সেহরির ফজিলত অর্জিত হবে। (হেদায়া : খণ্ড : ০১, পৃষ্ঠা : ১৮৬)