ফজিলতময় সূরা ইখলাস
সুরা ইখলাসের ফজিলত
তিনবার সুরা ইখলাস পড়লে একবার কুরআন খতম দেওয়ার সমান সওয়াবঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুরা ইখলাস সম্পর্কে বলেছেন,
“নিঃসন্দেহে এটা কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।”
মুসলিমঃ ৮১২, তিরমিযীঃ ২৮৯৯।
ﻗُﻞ ﻫُﻮَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﺣَﺪٌ
বল, তিনিই আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়।
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟﺼَّﻤَﺪُ
আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী।
ﻟَﻢ ﻳَﻠِﺪ ﻭَﻟَﻢ ﻳﻮﻟَﺪ
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি।
ﻭَﻟَﻢ ﻳَﻜُﻦ ﻟَﻪُ ﻛُﻔُﻮًﺍ ﺃَﺣَﺪٌ
আর তাঁর কোন সমকক্ষও নেই।
সুরা ইখলাস দশবার পড়ার ফযীলতঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস দশ বার পড়বে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরী করবেন, যে বিশ বার পড়বে তার জন্য দুইটি প্রাসাদ তৈরী করবেন, যে ত্রিশ বার পড়বে তার জন্য আল্লাহ তিনটি প্রাসাদ তৈরী করবেন।”
দারিমীঃ ৩৪৯২, সিলসিলাহ সহীহাহঃ ৫৮৯।
রাতের বেলা সুরা ইখলাস পড়া মুস্তাহাবঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার সাহাবীদেরকে বললেন, “তোমরা কি রাতে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়তে পারনা”? প্রস্তাবটি সাহাবাদের জন্য কঠিন মনে হল। তাই তাঁরা বলে উঠলেন, “হে আল্লাহর রসুল! এই কাজ আমাদের মধ্যে কে করতে পারবে”?
রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেন, ﻗُﻞ ﻫُﻮَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﺣَﺪٌ
(সুরা ইখলাস) কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।” (অর্থাৎ এই সুরা পড়লে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়ার সমান নেকী পাওয়া যাবে)।
সহীহুল বুখারীঃ ৫০১৫, নাসায়ীঃ ৯৯৫, আবু দাউদ ১৪৬১, আহমাদ ১০৬৬৯।
যে ব্যক্তি সুরা ইখলাসকে ভালোবাসবে, এই ভালোবাসা তাকে জান্নাতে নিয়ে যাবেঃ
এক সাহাবী এসে বলল, “হে আল্লাহর রসূল! আমি এই আল ইখলাস ﻗُﻞ ﻫُﻮَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﺣَﺪٌ ভালবাসি।
তিনি বললেন, “এর ভালবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।”
(বুখারীর ৭৭৪নং হাদীসের পরবর্তী অধ্যায়, তিরমিযী ২৯০১, আহমাদ ১২০২৪)
Online News Portal 24