সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫, বৈশাখ ১৫ ১৪৩২, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৬

ব্রেকিং

ঐকমত্যের বাইরে সংস্কারের প্রয়োজন নেই: আমির খসরু এপ্রিলের ২৬ দিনে প্রবাসী আয় ২২৭ কোটি ডলার দুই উপদেষ্টার সাবেক এপিএস ও পিওর পেছনে দুদক মামলার ‘হয়রানি’: বিএনপিকর্মীদের জন্য ক্ষতিপূরণ চান আমীর খসরু বটগাছ প্রতীক চায় খেলাফত আন্দোলনের জাফর গ্রুপ আইন উপদেষ্টার বাসায় পড়ে থাকা ড্রোনে ধ্বংসাত্মক ডিভাইস পাওয়া যায়নি রোম ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা কক্সবাজারের সাবেক এমপি জাফর আলম ঢাকায় গ্রেপ্তার আগামী নির্বাচনে অনেক সারপ্রাইজ দেখতে পাব: সামান্তা শারমিন কবি দাউদ হায়দারের নির্বাসিত জীবনের চিরমুক্তি পটুয়াখালীতে ধর্ষণের শিকার সেই শহীদকন্যার আত্মহত্যা ঢাকার বাতাস আজ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ সুনামগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনার জেরে যুবক খুন দুই পুত্রবধূসহ এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া অন্তিম শয়ানে পোপ ফ্রান্সিস প্রতিরক্ষা অভিযানের খবর সরাসরি প্রচারে নিষেধাজ্ঞা ভারতের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত

আন্তর্জাতিক

কাশ্মীরে `ইসরায়েলি কায়দায়` ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ভারতীয় সেনারা, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ

 প্রকাশিত: ২২:২৮, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

কাশ্মীরে `ইসরায়েলি কায়দায়` ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ভারতীয় সেনারা, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ

পুলওয়ালমাতে সন্দেহভাজন এক বিদ্রোহীর বাড়ি ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনারা -রয়টার্স

জম্মু-কাশ্মীরে গত ২২ এপ্রিলের ২৬ জন নিহতের হামলার পর ভারতীয় সেনারা তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা রোববার (২৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে জানায়, হামলায় জড়িত সন্দেহে অন্তত ৯টি বসতবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে, যা 'বিদ্রোহীদের বাড়ি' বলে দাবি করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ভারতীয় সেনারা এখন 'ইসরায়েলি কৌশল' অবলম্বন করছে। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীদের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি বাহিনী যেভাবে বসতবাড়ি ধ্বংস করে, ভারতীয় সেনারাও একই পন্থা অনুসরণ করছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই ইসরায়েলি কৌশলকে মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

সন্দেহভাজন লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য ফারুক তিদার পারিবারিক বাড়ি বিস্ফোরক দিয়ে ধ্বংস করার পর তার এক আত্মীয় আলজাজিরাকে ক্ষোভের সাথে বলেন, "স্থানীয়দের শাস্তি দিতে এগুলো ইসরায়েলি কৌশল। এই নিরীহ পরিবারগুলোর দোষ কী? এই বাড়িগুলোর সঙ্গে বিদ্রোহীদের কোনো সম্পর্ক নেই। বিদ্রোহীরা যখন বহু বছর আগে বাড়ি ছেড়েছে, তখন তাদের পরিবারও তাদের ছেড়ে গেছে।"

ফারুক তিদা ১৯৯০ সালের দিকে পাকিস্তানে চলে যান এবং এরপর আর ফেরেননি বলে তার পরিবার জানিয়েছে।

দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা গ্রামের বাসিন্দারা জানান, সন্দেহভাজন আরেক লস্কর সদস্য আহসান শেখের বাড়িও ভারতীয় সেনারা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। তবে তার বাড়ি ধ্বংসের সময় পার্শ্ববর্তী আরও অন্তত ১২টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এক বাসিন্দা আলজাজিরাকে বলেন, "আমরা ইশার নামাজ পড়ছিলাম। তখন তারা আমার প্রতিবেশীর বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটায়। আমাদের নিজেদের বাড়ি এবং পাশের আরও এক ডজন বাড়িও ধ্বংস হয়েছে। আমাদের অপরাধ কী ছিল? আমরা এখন কোথায় যাব জানি না। তারা শুধু আমাদের প্রতিবেশী ছিল।"

পেহেলগামের হামলার পর ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে গণগ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।