ফেসবুকে স্প্যাম ঠেকাতে কঠোর হচ্ছে মেটা

ফেসবুকে স্প্যাম আর নয় — আসল কনটেন্টের যুগে ফিরছে মেটা!
ফেসবুকে স্প্যাম ও বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট ছড়ানো বন্ধে আরও কঠোর হচ্ছে মেটা। প্ল্যাটফর্মের অ্যালগরিদমকে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রভাবিত করে রিচ ও মনিটাইজেশন সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করলে এবার কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
মেটার এক ঘোষণায় জানানো হয়েছে, যেসব ব্যবহারকারী অতিরিক্ত হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেন, অস্বাভাবিকভাবে দীর্ঘ ক্যাপশন লেখেন বা পোস্টের সঙ্গে সম্পর্কহীন তথ্য যুক্ত করেন, তাঁদের পোস্টের রিচ কমিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি, এ ধরনের অ্যাকাউন্টগুলিকে মনিটাইজেশন প্রোগ্রামের বাইরে রাখা হবে। মেটার ভাষায়, যদিও এসব কনটেন্ট সবসময় ক্ষতিকর হয় না, তবে এগুলো মূলত মানসম্পন্ন কনটেন্টকে ঢেকে ফেলে ব্যবহারকারীদের ফিডে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে।
উদাহরণ হিসেবে মেটা জানায়, অনেক সময় একটি সাধারণ প্রাণীর ছবি পোস্ট করে তার সঙ্গে বিমানের প্রযুক্তিগত তথ্যসংক্রান্ত ক্যাপশন যুক্ত করা হয়, যার বাস্তবে কোনো সম্পর্ক নেই। আবার নির্দিষ্ট কিছু নেটওয়ার্ক শত শত অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে একই পোস্ট বারবার ছড়িয়ে দেয়। এ ধরনের সমন্বিত প্রচেষ্টা মেটার নজরে এসেছে এবং এগুলোকেও মনিটাইজেশন সুবিধা থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
সম্প্রতি মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ ঘোষণা দেন, তিনি ফেসবুককে তার 'মূল রূপে' ফিরিয়ে নিতে চান — এমন একটি ফেসবুক যেখানে ব্যবহারকারীরা তাঁদের বন্ধু, পরিবার এবং পরিচিতজনদের বাস্তব জীবনের কনটেন্ট দেখতে পাবেন। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, মেটার সাম্প্রতিক এই পদক্ষেপ জাকারবার্গের সেই ঘোষণারই বাস্তবায়ন।
এছাড়া, ফেসবুকের মন্তব্য ব্যবস্থাপনাতেও পরিবর্তন আসছে। মেটা জানিয়েছে, যেসব মন্তব্য 'ফেক এনগেজমেন্ট' হিসেবে চিহ্নিত হবে, সেগুলোর রিচ ও দৃশ্যমানতা কমিয়ে দেওয়া হবে। ব্যবহারকারীদের মতামতের ভিত্তিতে বিভ্রান্তিকর বা অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য চিহ্নিত করার জন্য চালু করা হচ্ছে একটি পরীক্ষামূলক ফিচার। এ ছাড়া ভুয়া পরিচয় ব্যবহারকারী বা অন্যের নাম-পরিচয়ে মন্তব্যকারীদের মন্তব্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে লুকিয়ে রাখা হবে। কনটেন্ট নির্মাতারা চাইলে এসব মন্তব্য রিপোর্টও করতে পারবেন।