যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজার আবারো চাঙ্গা

ওয়াল স্ট্রিটের শেয়ার বাজার শুক্রবার দিন শেষে ঊর্ধ্বমুখী ছিল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্কনীতি ও ফেডারেল রিজার্ভ নিয়ে মনোভাবের পরিবর্তনের ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা বেড়ে যাওয়ায় এই ঊর্ধ্বগতি দেখা যায়।
তিনটি প্রধান সূচকের মধ্যে দু’টি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। তবে বিশ্লেষকেরা আগামী সপ্তাহের কর্পোরেট আয় ও অর্থনৈতিক উপাত্ত প্রকাশের আগে কিছুটা সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
ক্রসমার্ক গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্টসের ভিক্টোরিয়া ফার্নান্দেজ বলেন, ‘সফট ডেটা অর্থনীতির জন্য বেশ নেতিবাচক সংকেত দিচ্ছে, তবে তা এখনো কঠোর উপাত্তে প্রতিফলিত হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘শ্রমবাজারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাত্ত আগামী সপ্তাহে প্রকাশিত হলে বোঝা যাবে অর্থনীতি আসলেই দুর্বল হচ্ছে কি-না।’
ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ ০.১ শতাংশ বেড়ে ৪০,১১৩.৫০ পয়েন্টে পৌঁছেছে।
ব্যাপক ভিত্তিতে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ০.৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫২৫.২১ পয়েন্টে এবং প্রযুক্তিনির্ভর নাসডাক কম্পোজিট সূচক ১.৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৭৩৮২.৯৪ পয়েন্ট।
সোমবার ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনার পর বাজারে পতন দেখা দেয়। কিন্তু মঙ্গলবার ট্রাম্প যখন বলেছেন, ফেড চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করার তার কোন ইচ্ছা নেই, তখন থেকে বাজারে চাঙ্গাভাব দেখা দেয়।
চীনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনার ক্ষেত্রেও ট্রাম্প প্রশাসনের মনোভাব কিছুটা নমনীয় হয়েছে, যদিও ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে আলোচনার অবস্থা এখনও অস্পষ্ট।
বেইজিং বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের কোনো সক্রিয় আলোচনা চলছে না, তবে ট্রাম্প দাবি করেছেন তিনি চীনের নেতা শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন।
কোম্পানি ভিত্তিক পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট চলতি প্রান্তিকে ৩৪.৫ বিলিয়ন ডলারের মুনাফা ঘোষণা করার পর তাদের শেয়ার ১.৫ শতাংশ বেড়ে যায়। তাদের মুনাফা বৃদ্ধিতে ক্লাউড কম্পিউটিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক(এআই) কার্যক্রমের অবদান ছিল।
তবে ইনটেলের দ্বিতীয় প্রান্তিকের দুর্বল পূর্বাভাসের কারণে তাদের শেয়ার ৬.৭ শতাংশ কমে যায়।