বাংলাদেশকে জ্বালানি সহায়তার আশ্বাস কাতারের প্রতিমন্ত্রীর

বাংলাদেশকে জ্বালানি খাতে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন কাতারের জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দোহায় অনুষ্ঠিত ‘আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫’-এর ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো বার্তায় জানানো হয়, কাবি বলেন, “আমরা যতটা সম্ভব বাংলাদেশকে সমর্থন করতে চাই এবং এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।”
সাক্ষাতে দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি খাতসংক্রান্ত পূর্ববর্তী চুক্তিগুলোর বিষয়েও আলোচনা হয়। ২০১৭ সালে কাতার ও বাংলাদেশ সরকার থেকে সরকার পর্যায়ের (জিটুজি) ভিত্তিতে ১৫ বছরের জন্য এলএনজি বিক্রয় চুক্তি সই হয়, যার আওতায় বার্ষিক ৪০টি কার্গো আমদানি করা হচ্ছে। ২০২৩ সালে দ্বিতীয় চুক্তি অনুযায়ী আরও ১.৫ মেট্রিক টন এলএনজি সরবরাহের সিদ্ধান্ত হয়, যা কার্যকর হবে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, পূর্ববর্তী সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন করে একটি সমঝোতা স্মারক অবিলম্বে স্বাক্ষরের প্রস্তুতি নিচ্ছে কাতার। তার ভাষায়, “সরবরাহ নিরাপত্তার জন্য দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সর্বোত্তম সমাধান।”
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ কাতারের সহায়তায় জ্বালানি খাত পুনর্গঠন করতে চায়। এই খাতে আমাদের সম্ভাবনাগুলো অন্বেষণে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।”
বৈঠকে জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, মাতারবাড়ি, কক্সবাজারে একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাইপলাইন সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের। তিনি আরও বলেন, এলএনজি টার্মিনালগুলো বর্তমানে বছরে ১১৫টি কার্গো পরিচালনায় সক্ষম, তবে ভবিষ্যতে এই সংখ্যা বাড়ানো হবে।
কাতারের প্রতিমন্ত্রী ইউরিয়া সার সরবরাহ বাড়ানোর কথাও জানান।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বিআইডিএ চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ, এসডিজি সচিব লামিয়া মোর্শেদ এবং জ্বালানি সচিব মো. সাইফুল ইসলাম।