মানবাধিকারের মুখোশের আড়ালে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থ

মানবাধিকারের নামে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থনির্ভর নীতি
যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি মূলত তাদের অর্থনৈতিক ও সামরিক আধিপত্য বজায় রাখার ওপর নির্ভরশীল। মানবাধিকার ও নৈতিকতার কথা বললেও বাস্তবে তারা কৌশলগত স্বার্থের ভিত্তিতে অবস্থান নেয়। কোনো সংকট তাদের ভূরাজনৈতিক স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলে তারা মানবিক সহায়তা বা সামরিক হস্তক্ষেপ করে, অন্যথায় নিরব ভূমিকা পালন করে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক নীতিগুলো পরিবর্তনশীল এবং স্বার্থনির্ভর। উদাহরণস্বরূপ, তারা ইসরায়েলের হামলাকে "আত্মরক্ষার অধিকার" হিসেবে বৈধতা দেয়, কিন্তু গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের সময় কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয় না।
১৯৯০-এর দশকে কসোভো ও বসনিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপ করলেও রুয়ান্ডার গণহত্যার সময় নীরব ছিল যুক্তরাষ্ট্র। একদিকে স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে কথা বলে, অন্যদিকে সৌদি আরবের মতো একনায়কতান্ত্রিক দেশগুলোকে সমর্থন দেয়। চীনের উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমালোচনা করলেও, তা মূলত বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার অংশ।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগুলো আদৌ মানবিক নাকি কৌশলগত স্বার্থপ্রসূত, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।