যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শে ইসরায়েলের গাজা আগ্রাসন: নিহত ৩০০, শিশু-নারীসহ বহু হতাহত

গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ সামরিক হামলা
পবিত্র রমজান মাসে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ সামরিক হামলা চালিয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ নিয়েই করা হয়েছে বলে জানা গেছে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট ফক্স নিউজকে জানান, হামলার আগে ইসরায়েল ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শ করেছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, হামাস নিয়ন্ত্রিত অবস্থানগুলোতে হামলা চালানো হয়েছে এবং এতে গাজার উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আবু ওয়াফাহ নিহত হয়েছেন। ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরুর পর এটি সবচেয়ে বড় বিমান হামলা, যা যুদ্ধবিরতি সমঝোতা ব্যর্থ হওয়ার পর চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সেহরির সময় বিস্ফোরণ শুরু হলে হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। হামলায় এখন পর্যন্ত ৩০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৫০ জনেরও বেশি শিশু ও ২৮ জন নারী রয়েছেন। ২০টিরও বেশি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান গাজা সিটি, রাফাহ ও খান ইউনিসে আক্রমণ চালিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ এই হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। বিবৃতিতে জানানো হয়, হামাসের পক্ষ থেকে বারবার জিম্মিদের মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় এবং মার্কিন মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় সামরিক অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন হামাসকে সতর্ক করে বলেছেন, তারা শত্রুদের প্রতি কোনো দয়া দেখাবে না। অন্যদিকে, হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিলের জন্য ইসরায়েলকে বিশ্বাসঘাতক বলে অভিযুক্ত করেছে এবং জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে, যদিও এখন পর্যন্ত তারা নতুন করে যুদ্ধ শুরু করার ঘোষণা দেয়নি।