গাজার ফিলিস্তিনিদের আফ্রিকায় পুনর্বাসনের চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনিদের পূর্ব আফ্রিকার তিনটি দেশে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এ লক্ষ্যে দুই দেশ সুদান, সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
তবে সুদান সরাসরি এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। অন্যদিকে, সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা এমন কোনো প্রস্তাব সম্পর্কে অবগত নন।
গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে গাজা পুনর্গঠনের জন্য ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র স্থানান্তরের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক বৈঠকের পর ট্রাম্প গাজাকে দখলে নেওয়া ও এটিকে মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা হিসেবে গড়ে তোলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
সে সময় তিনি ফিলিস্তিনিদের জর্ডান, মিশর ও অন্যান্য আরব দেশে পুনর্বাসনের প্রস্তাব দেন, তবে জর্ডান ও মিশর এ পরিকল্পনা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পরিকল্পনার বিপরীতে মিশর গাজা পুনর্গঠনের একটি বিকল্প প্রস্তাব দেয়। গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত আরব লিগ সম্মেলনে উত্থাপিত এই প্রস্তাবে ফিলিস্তিনিদের গাজায় রেখেই ধাপে ধাপে ৫ বছরে পুনর্গঠনের পরিকল্পনা করা হয়।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল মিশরের প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ, এতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার কোনও স্পষ্ট নির্দেশনা নেই এবং গাজার নিরাপত্তা ও দীর্ঘমেয়াদী শাসনব্যবস্থার বিষয়টিও স্পষ্ট করা হয়নি।
গাজা পুনর্গঠন ও ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ইসরায়েলের দখলদারিত্ব, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা এবং আরব বিশ্বের অবস্থান গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে, ফিলিস্তিনিরা গাজা ছেড়ে অন্য কোথাও পুনর্বাসিত হতে রাজি হবে কি না, সেটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।