পাকিস্তানে ট্রেন ছিনতাই: তিন শতাধিক জিম্মিকে মুক্ত করার দাবি সেনাবাহিনীর

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা ৪০০ এর বেশি যাত্রী বহনকারী একটি ট্রেন ছিনতাইয়ের পর সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে ৩০০ জনেরও বেশি জিম্মিকে মুক্ত করার দাবি করেছে।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেন, অভিযানে ৩৩ জন হামলাকারী নিহত হয়েছেন। অভিযান শুরুর আগে বালুচ লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) হাতে ২১ জন সাধারণ যাত্রী এবং ৪ সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন।
তবে বিবিসি এই পরিসংখ্যান যাচাই করে দেখতে পারেনি। সেনাবাহিনী বর্তমানে ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে, যাতে আর কোনও হুমকি না থাকে।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানান, ট্রেনে হামলার সময় প্রায় ৪৪০ জন যাত্রী ছিলেন। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন, কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী ট্রেন ছেড়ে গিয়ে থাকতে পারে এবং তাদের সঙ্গে মানুষজকে জিম্মি করে পার্বত্য এলাকায় নিয়ে গিয়ে থাকতে পারে।
ট্রেনে হামলা সময় যেসব যাত্রীরা পালিয়ে আশেপাশের এলাকায় চলে গেছেন তাদের খোঁজ করছে সেনাবাহিনী, জানান সামরিক মুখপাত্র। কতজন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ এবং যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশও বিএলএ কে সন্ত্রাসী সংগঠনের তকমা দিয়েছে। বিএলএ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় প্রদেশ বেলুচিস্তানের বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসন কিংবা স্বাধীনতার দাবি জানিয়ে আসছে।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল প্রায় ৯টার দিকে নয় বগির জাফর এক্সপ্রেস খাইবার পাখতুনখওয়ার পেশোয়ার শহরের উদ্দেশে বেলুচিস্তানের কোয়েটা ছেড়ে যায়। এরপর দুপুর প্রায় ১টার দিকে বেলুচিস্তানের বোলান জেলার পানির ও পেশি রেল স্টেশনের মাঝামাঝি মুশকাফের নিকটবর্তী রেলওয়ে টানেল ৮ এর কাছে ট্রেনটিতে হামলা হওয়ার খবর আসে।
বেলুচিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বালুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এ হামলার দায় স্বীকার করে। হামলার খবর পাওয়ার পরই পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী বহু প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে পর্বতময় বন্ধুর ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে।