পুলিশ আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে আক্রমণের শিকার হচ্ছে: আইজিপি

রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম। তিনি মন্তব্য করেছেন, ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের কারণে পুলিশ আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে মানুষের আক্রমণের শিকার হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট-পরবর্তী অপরাধী পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় এনে ও সরিয়ে দিয়ে পুলিশ বাহিনীকে স্বগৌরবে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এরপরও আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ বাধার মুখে পড়ছে, পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। উল্টো পথে যান চলাচল বন্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে ট্রাফিক পুলিশের ওপর সাইকেল চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে।’আইজিপি আরও বলেন, "উল্টো পথে যান চলাচল বন্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে ট্রাফিক পুলিশের ওপর সাইকেল চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (০৬ মার্চ) সকালে রংপুরে অনুষ্ঠিত একটি কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন। কর্মশালাটির শিরোনাম ছিল "দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ", যা রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের মিলনায়তনে আয়োজন করা হয়।
আইজিপি তার বক্তব্যে নাগরিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, "পুলিশকে আপনারা আবার কাছে টেনে নিন, পুলিশকে কাজ করতে সহায়তা করুন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেছে, পুলিশ আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে মানুষের আক্রমণের শিকার হচ্ছে। এটা আবেগের বিষয়। হয়তো তারা অতীতের স্মৃতি মনে করে, যখন পুলিশ অন্যায়ভাবে মানুষের ওপর আক্রমণ করেছে বা গণবিরোধী আচরণ করেছে।"
তিনি আরও জানান, "৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে আমরা চেষ্টা করছি যারা অপরাধী (পুলিশ), তাদের বিচারের আওতায় এনে ও সরিয়ে দিয়ে পুলিশ বাহিনীকে আবার স্বগৌরবে ফিরিয়ে আনতে এবং কর্মক্ষম করে তুলতে।"
আইজিপি বাহারুল আলম আরও বলেন, "জুলাই অভ্যুত্থানের মামলাগুলো সঠিক তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হবে। যদি নিষ্পত্তি না করা হয় এবং মানুষ যদি ন্যায়বিচার না পায়, তাহলে জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না। এ জন্য বিচারক, সরকারি কৌঁসুলি, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।"
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী, আট জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা ও দায়রা জজ, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক, সরকারি কৌঁসুলি ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি)।