শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ফাল্গুন ১০ ১৪৩১, ২৩ শা'বান ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

পশ্চিম তীরে সামরিক অভিযানের নির্দেশ নেতানিয়াহুর

 প্রকাশিত: ১৮:৪১, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

পশ্চিম তীরে সামরিক অভিযানের নির্দেশ নেতানিয়াহুর

Israil

গতকাল বৃহস্পতিবার তেল আবিবের কাছে তিনটি বাসে বিস্ফোরণের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দেশটির সেনাবাহিনীকে পশ্চিম তীরে বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। 

 

নেতানিয়াহুর কার্যালয় বিস্ফোরণের ঘটনাকে ‘গণহামলার চেষ্টা’ বলে উল্লেখ করেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, দুটি শহরতলিতে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ ঘটে এবং ঘটনাস্থল থেকে চারটি টাইমারযুক্ত বিস্ফোরক যন্ত্র উদ্ধার করা হয়। বিস্ফোরণের সময় বাসগুলো ডিপোতে দাঁড়ানো ছিল, ফলে যাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়নি।

 

এ ঘটনা ২০০০-এর দশকে ফিলিস্তিনি অভ্যুত্থানের সময় বাসে বোমা হামলার ঘটনাগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলে এমন হামলা খুবই বিরল। বিস্ফোরণের দায় তাৎক্ষণিকভাবে কেউ স্বীকার করেনি।

 

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতকে তদন্তে সহযোগিতা করছে। পুলিশ সন্দেহভাজনদের খুঁজছে এবং জনগণকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। টাইমারযুক্ত বিস্ফোরক যন্ত্র উদ্ধারের পর গণপরিবহনে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, একটি ডিপোতে আগুনে পুড়ে যাওয়া বাসের ধ্বংসাবশেষ।

বিস্ফোরণের পর নেতানিয়াহু ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী, সামরিক বাহিনী ও শিন বেতের প্রধান এবং পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এরপরই তিনি পশ্চিম তীরে ‘সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান’ জোরদারের নির্দেশ দেন। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা কিছু এলাকায় প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়েছে, যদিও নির্দিষ্ট স্থান উল্লেখ করা হয়নি।

গত মাস থেকেই ইসরায়েলি বাহিনী পশ্চিম তীরে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে, যেখানে কয়েকটি শরণার্থীশিবির গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে হাজারো ফিলিস্তিনি ঘরছাড়া হয়েছেন। ইসরায়েল দাবি করছে, এই অভিযান ‘সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে পরিচালিত হচ্ছে।

অন্যদিকে, গাজা উপত্যকায় ১৫ মাসের যুদ্ধের পর ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলছে। তবে গতকাল বাসে বিস্ফোরণের মধ্যেই হামাস চার জিম্মির মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে।

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকেই ইসরায়েল ও হামাস পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনছে। তবে এ দোষারোপের মধ্যেও যুদ্ধবিরতি এখনো বহাল রয়েছে।