জিম্মি মুক্তি না দিলে গাজায় যুদ্ধবিরতি বাতিল হওয়া উচিত: ট্রাম্প
![জিম্মি মুক্তি না দিলে গাজায় যুদ্ধবিরতি বাতিল হওয়া উচিত: ট্রাম্প জিম্মি মুক্তি না দিলে গাজায় যুদ্ধবিরতি বাতিল হওয়া উচিত: ট্রাম্প](https://www.onp24.com/media/imgAll/2023June/trump725-2502111310.jpg)
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস সব ইসরায়েলি জিম্মিকে শনিবার দুপুরের মধ্যে মুক্তি না দিলে গাজায় যুদ্ধবিরতি বাতিল করা উচিত ইসরায়েলের।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে হামাস চুক্তির শর্তানুযায়ী ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি সোমবার অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখার ঘোষণা দেওয়ার পর ট্রাম্প এই আলটিমেটাম দিলেন।
হামাসের পদক্ষেপকে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির পুরোপুরি লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি গত ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হয়।
এর মধ্য দিয়ে গাজায় টানা ১৫ মাসের ইসরায়েলি হামলার অবসান হয়। যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মেনে এরই মধ্যে কয়েকদফায় জিম্মি ও বন্দিবিনিময় করেছে হামাস ও ইসরায়েল।
এরপর হামাস পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জিম্মি মুক্তি স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করার পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গাজায় যে কোনও পরিস্থিতির জন্য সেনাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
ওদিকে, ট্রাম্প হামাসের ঘোষণাকে ‘ভয়াবহ’ আখ্যা দিয়েছেন এবং বলেছেন, শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির কী হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্তের ভার তিনি ইসরায়েলের ওপর ছেড়ে দেবেন।
সোমবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “যদি শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে সব জিম্মিকে ফেরত দেওয়া না হয়- আমার মনে হয়, এটাই উপযুক্ত সময়। আমি বলব, এটি (যুদ্ধবিরতি) বাতিল কর।”
ট্রাম্পের এই আলটিমেটামে গাজায় তিন সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া উচিত। দুইজন, একজন, তিনজন কিংবা চারজন করে নয়। আমরা তাদের সবাইকে ফেরত চাই।
জিম্মিদের ফেরানোর সময়সীমা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নয়, খোদ তিনি সময়সীমা দিচ্ছেন জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, শনিবার ১২ টার মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে। তা যদি না হয়, তাহলে (গাজায়) আবার নারকীয় পরিস্থিতি ফিরে আসবে।”
ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে বক্তব্যে ট্রাম্প জর্ডান ও মিশরে সাহায্য বন্ধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। তিনি বলেন, তার পরিকল্পনামতো জর্ডান ও মিশর যদি গাজার ফিলিস্তিনিদের শরণার্থী হিসাবে না নেয়, তাহলে তিনি দেশগুলোর জন্য সহায়তা বন্ধ করে দিতে পারেন।