চীনের পাল্টা আঘাত, মার্কিন পণ্যে শুল্ক আরোপ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ আরও তীব্র হয়ে উঠেছে, যেখানে উভয় দেশ একে অপরের পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করেছে। ৪ ফেব্রুয়ারি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০% শুল্ক আরোপ করেন। এর প্রতিক্রিয়ায়, চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় দ্রুত পাল্টা ব্যবস্থা নেয় এবং মার্কিন কয়লা ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি)-এর ওপর ১৫% এবং অপরিশোধিত তেল, কৃষি যন্ত্রপাতি ও কিছু গাড়ির ওপর ১০% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়। এই শুল্ক ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
চীন আরও জানিয়েছে, তারা গুগলের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট ইনকর্পোরেটেডের বিরুদ্ধে একটি অ্যান্টি-মনোপলি তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি, ক্যালভিন ক্লেইনের মূল কোম্পানি পিভিএইচ কর্প এবং মার্কিন বায়োটেক প্রতিষ্ঠান ইলুমিনাকে ‘অবিশ্বস্ত সংস্থার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
চীন আরও ঘোষণা করেছে যে, তারা টংস্টেন, টেলুরিয়াম, রুথেনিয়াম, মলিবডেনাম ও রুথেনিয়াম-সম্পর্কিত পণ্যের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করবে, যা তারা জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে করছে। এই গুরুত্বপূর্ণ দুর্লভ খনিজ উপাদানগুলো চীন বৈশ্বিকভাবে সরবরাহের একটি বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করে, যা পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উন্নয়নে অপরিহার্য।
অন্যদিকে, মেক্সিকো ও কানাডার ওপর ২৫% শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত শেষ মুহূর্তে স্থগিত করেছেন ট্রাম্প। তিনি সীমান্ত ও অপরাধ দমনে কিছু ছাড় পাওয়ার শর্তে ৩০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত করেছেন। তবে চীনের ক্ষেত্রে কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি। ট্রাম্পের দাবি, বেইজিং মাদক পাচার, বিশেষ করে ফেন্টানিল প্রবাহ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
চীনের পাল্টা শুল্ক ঘোষণার পর হংকং শেয়ারবাজারে উত্থান কিছুটা কমে গেছে, ডলার আরও শক্তিশালী হয়েছে এবং চীনা ইউয়ান দুর্বল হয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে অস্ট্রেলিয়ান ডলারেও।
বিশ্লেষক গ্যারি এনজি বলেন, ‘মেক্সিকো ও কানাডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি সম্ভব হলেও চীনের ক্ষেত্রে বিষয়টি জটিল। এমনকি যদি দুই দেশ কিছু বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছায়, তবুও শুল্ক নীতিকে পুনরায় ব্যবহার করা হতে পারে,যা এই বছর বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে।’
