পশ্চিম তীরে ২০ টি বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল ইসরায়েল
অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় রোববার অন্তত ২০ টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। বিস্ফোরণ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, এর শব্দ শোনা গেছে জেনিন এবং আশেপাশের শহরগুলো থেকেও।
ফিলিস্তিনের সংবাদ সংস্থা ওয়াফা এ খবর জানিয়েছে। আল-জাজিরার আরব সংবাদাতারা বলছেন, বিস্ফোরণে জেনিন শরণার্থী শিবিরের কাছের আদ-দামজ এলাকায় একটি আবাসিক ব্লক উড়ে গেছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীও এ হামলার খবর নিশ্চিত করে জানিয়েছে। তারা বলেছে, জেনিনে কয়েকটি ভবন ধ্বংস করা হয়েছে। এ ভবনগুলো সন্ত্রাসী অবকাঠামো হিসাবে ব্যবহার হচ্ছিল। তবে এর কোনও প্রমাণ দেয়নি ইসরায়েলি বাহিনী।
পশ্চিম তীরে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে ইসরায়েলের হামলায় ৫০ ফিলিস্তিনি যোদ্ধা নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গত মাস থেকে পশ্চিম তীরে অভিযান শুরু করেছে। এ অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে আয়রন ওয়াল।
জেনিন এলাকায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গুপগুলোকে লক্ষ্য করে মূলত ইসরায়েল এ অভিযান চালাচ্ছে। গত ১৯ জানুয়ারিতে গাজায় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পরই ইসরায়েল পশ্চিম তীরে এ অভিযান শুরু করে।
রোববার বিস্ফোরণে ২০ বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়ে ইসরায়েল অভিযানে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠারই বহিঃপ্রকাশ ঘটাল। জেনিনের অধিবাসী হেনা আল-হাজ হাসান আল-জাজিরাকে বিস্ফোরণের বিষয়ে বলেন, “শব্দ ছিল ভয়াবহ।”
হাসান বলেন, তিনি ও জেনিনের অন্যান্য অধিবাসীরা দুই সপ্তাহ ধরে লাগাতার হামলার শিকার হচ্ছেন। তিনি বলেন, কারফিউ জারি ছিল। সেকারণে দোকানপাট, ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ ছিল।
জেনিন সরকারি হাসপাতালের পরিচালক ওয়াসিম বকর বলেন, হামলায় হাসপাতালের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি।
বাড়িঘর ভেঙে যাওয়ায় অনেক পরিবারই বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াফা বার্তা সংস্থা। জেনিন শিবিরের বাড়িগুলো আর বাসযোগ্য নেই, বলেছেন এক অধিবাসী।