ভারতে মহা কুম্ভমেলায় পদদলনের ঘটনায় নিহত অন্তত ৭
ভারতের উত্তর প্রদেশে মহা কুম্ভ মেলায় পদদলনের এক ঘটনায় অন্তত সাতজন নিহত ও প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন বলে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বুধবার ভোরের আগে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হিন্দুদের ছয় সপ্তাহের এ মেলার সবচেয়ে শুভদিন উপলক্ষ্যে ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান করতে কয়েক কোটি মানুষ প্রয়াগরাজের অস্থায়ী শহরটিতে হাজির হয়।
রয়টার্স জানায়, ড্রোন ফুটেজে দেখা গেছে ভক্তরা ভোররাতের অন্ধকারের মধ্যে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গঙ্গা, যমুনা ও পৌরাণিক অদৃশ্য নদী সরস্বতীর মিলনস্থল ত্রিবেণীতে ‘পবিত্র’ ডুব দিতে এগিয়ে যাচ্ছেন।
পদদলনের ঘটনার পর ধারণ করা ভিডিও ও ছবিগুলোতে দেখা গেছে, মৃতদেহ স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আর লোকজন মাটিতে বসে কাঁদছে, জান বাঁচাতে সরে যাওয়ার চেষ্টা করা লোকজনের মালপত্র একটা কার্পেটের ওপর পড়ে আছে আর কিছু লোক সেখানে কাজ করছে।
রয়টার্সের একজন প্রত্যক্ষদর্শী বেশ কয়েকটি মৃতদেহ দেখেছেন। তিনি নদী তীরের ঘটনাস্থলে জড়ো হওয়া অনেকগুলো অ্যাম্বুলেন্সের কাছে ছিলেন।
গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকা এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “পদদলনের এ ঘটনায় সাতজনেরও বেশি নিহত ও প্রায় ১০ জনের মতো আহত হয়েছেন।”
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাত প্রায় ১টার দিকেও পদদলনের আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল, কিন্তু তা ‘গুরুতর ছিল না’। কীভাবে পদদলনের ঘটনাটি ঘটেছে তা পরিষ্কার হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথম পদদলনের ঘটনা থেকে বাঁচার জন্য ভক্তরা সরে যাওয়ার চেষ্টা করলে বের হওয়ার একটি পথে ভিড়ের মধ্যে হুড়োহুড়িতে আরেকটি পদদলনের ঘটনা ঘটে। তখন তারা সেখান থেকে সরে এসে বের হওয়ার আরেকটি পথের খোঁজে পন্টুন সেতুগুলোর কাছে গেলে দেখেন কর্তৃপক্ষ সেটি বন্ধ করে রেখেছে।
নিজেকে রাভিন বলে পরিচয় দেওয়া মুম্বাই থেকে আসা এক ভক্ত বলেন, “বহু মানুষকে পড়ে যেতে ও ভিড়ের লোকজনকে তাদের উপর দিয়ে চলে যেতে দেখেছি আমি। বহু শিশু ও নারী হারিয়ে গিয়ে সাহায্যের জন্য কাঁদছিল।”
কর্মকর্তারা জানান, সঙ্কটজনক পরিস্থিতি চলার সময় র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের (আরএএফ) একটি বিশেষ ইউনিটকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য মোতায়েন করা হয়। উদ্ধারকাজ চলছে বলে জানিয়েছেন তারা।
২০১৩ সালের মহা কুম্ভ মেলার সময়ও সবচেয়ে শুভদিন মৌনী অমাবস্যার রাতে ভিড়ের চাপে একই ধরনের পদদলের ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময় নিহত ৩৬ জন ভক্তের অধিকাংশই নারী ছিলেন।