কী ঘটেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার উড়োজাহাজটিতে?
বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হওয়া জেজু এয়ারের উড়োজাহাজটিতে কী ঘটেছিল, তার একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার পরিবহন বিভাগের এক কর্মকর্তা।
ওই কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, উড়োজাহাজটির পাইলট প্রথমবার যখন অবতরণ করার অনুমতি চান, তখন নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বার্তা আসে, পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগার ঝুঁকি আছে। ফলে পাইলট উড়োজাহাজ নিয়ে আকাশে থাকতে বাধ্য হন।
“এর মিনিট দুয়েক পরে চালক মে ডে কল করে (বিপদে পড়ার সংকেত) জরুরি অবতরণের অনুমতি চান। তখন নিয়ন্ত্রণ কক্ষ তাকে বিপরীত দিক থেকে অবতরণের অনুমতি দেয়।”
এরপর পাইলট নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী অবতরণ করার সময় দুর্ঘটনায় পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, চাকা কিংবা কোনো ধরনের ‘ল্যান্ডিং গিয়ার’ ছাড়াই বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটি পেটের ওপর রানওয়েতে নেমে আসে। এরপর সেটি কিছুদূর ছেঁচড়ে গিয়ে পাশের একটি দেয়ালে বিধ্বস্ত হয়।
বিস্ফোরণের পর উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায় এবং এর ধ্বংসাবশেষ আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পরিবহন বিভাগের বরাতে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, জেজু এয়ারের ওই ফ্লাইটে যিনি মূল পাইলটের ভূমিকায় ছিলেন, তিনি ২০১৯ সাল থেকে ককপিটে বসেন। ৯ হাজার ৮০০ ঘণ্টা ফ্লাইট পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে যাত্রী নিয়ে এসে রোববার সকালে দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় উড়োজাহাজটি দুর্ঘটনায় পড়ে।
ওই ফ্লাইটে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছয়জন ক্রু ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৭৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কেবল দুজন ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করতে পেরেছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। উদ্ধার কাজ এখনো চলছে।