সিরিয়ার ১৬ মিলিয়ন মানুষের জরুরি সাহায্য প্রয়োজন
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা গতকাল সোমবার জানিয়েছে,সিরিয়ার পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল এবং চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। সেখানকার ১৬ মিলিয়ন লোকের জরুরি ভিত্তিতে সাহায্যের প্রয়োজন।
জাতিসংঘের কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটিরিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, শুধু মাত্র ২৮ নভেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সিরিয়ার পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম এলাকা থেকে ১০ লক্ষ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ‘সেখানে জরুরি ভিত্তিতে আরো আশ্রয়, খাদ্য এবং স্যানিটেশন সুবিধার ব্যবস্থা করা দরকার।’
জাতিসংঘ দপ্তরটি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে আলেপ্পো, হামা, হোমস, এবং ইদলিব থেকে প্রাথমিকভাবে নারী এবং শিশুরা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি অত্যন্ত অস্থিতিশীল এবং গত কয়েকদিনে অনেক লোক তাদের বাড়ি-ঘরে ফিরেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পরিবহন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় সীমিত সংখ্যক লোক নিত্য পণ্যে এবং মানবিক সাহায্যের আশায় এদিক-সেদিক ঘুরাফিরা করছে।
এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসিপ তায়্যিপ এরদোয়ান সোমবার ঘোষণা দিয়েছেন, তুরস্ক সিরিয়ার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলীয় হাতায় প্রদেশের সীমান্ত খুলে দিয়েছে। যাতে স্বেচ্ছাসেবী এবং সিরীয় শরণার্থীরা নিরাপদে ফিরতে পারেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রাজধানী আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা সিরীয় শরণার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে দেশে ফিরতে পারে সেজন্য ইয়ালাদাগী সীমান্ত খুলে দিয়েছি।’
২০১৩ সালে তুর্কি সীমান্তের কাছে সংঘর্ষ চলাকালে এই সীমান্ত পথটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
এরদোয়ান এই অঞ্চলের ভভিষ্যত নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘গতকাল সিরিয়ায় অন্ধকার যুগের অবসান হয়েছে এবং গৌরবময় অধ্যায়ের যাত্রা শুরু হলো।