রোববার ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ফাল্গুন ১১ ১৪৩১, ২৪ শা'বান ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

বুদ্ধিমত্তা (IQ) বাড়ানোর জন্য ১০টি ভালো অভ্যাস

 আপডেট: ১০:১৫, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বুদ্ধিমত্তা (IQ) বাড়ানোর জন্য ১০টি ভালো অভ্যাস

ভালো অভ্যাস

বুদ্ধিমত্তার পরিমাণ (IQ) হলো একজন ব্যক্তির মানসিক দক্ষতার একটি পরিমাপ, যা অন্যদের তুলনায় নির্ধারিত হয়। এটি যৌক্তিক চিন্তাভাবনা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা এবং মৌখিক সক্ষমতার মতো বিভিন্ন দিক মূল্যায়ন করে। সাধারণত, মানসিক দক্ষতার তুলনামূলক বিশ্লেষণের মাধ্যমে IQ স্কোর নির্ধারিত হয়। গড় IQ স্কোরের চেয়ে কম, বিশেষ করে ৭০-এর নিচে হলে, এটি মানসিক চ্যালেঞ্জ বা বিকাশজনিত সীমাবদ্ধতার ইঙ্গিত হিসেবে ধরা হয়। তবে, কম IQ স্কোর কোনো ব্যক্তির সামগ্রিক সম্ভাবনা বা মূল্যমান নির্ধারণ করে না।

মনোবিজ্ঞানী ও What’s In Mind-এর প্রতিষ্ঠাতা মিনাল মেহতা ১০টি অভ্যাসের পরামর্শ দিয়েছেন, যা মানসিক দক্ষতা উন্নত করতে সহায়ক:

১. নিয়মিত পড়াশোনা করা
বই, নিবন্ধ এবং গবেষণাপত্র পড়ার মাধ্যমে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে এবং নতুন ধারণা ও দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ মেলে। নিয়মিত পড়াশোনা মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে এবং নতুন জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করে। বই, গবেষণা প্রবন্ধ ও বিভিন্ন লেখাসমগ্র পড়ার মাধ্যমে চিন্তাশক্তি, বিশ্লেষণী ক্ষমতা ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়, যা বুদ্ধিমত্তা (IQ) উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

২. ধাঁধা ও ব্রেন গেম খেলা
সুডোকু, ক্রসওয়ার্ড এবং লজিক্যাল ধাঁধার মতো গেম মস্তিষ্ককে চ্যালেঞ্জ করে এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বৃদ্ধি করে।

৩. নিয়মিত ব্যায়াম করা
শারীরিক ব্যায়াম মস্তিষ্কে রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়িয়ে মানসিক স্বাস্থ্য ও চিন্তাশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।

৪.  স্বাস্থ্যকর খাবার খান

স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পুষ্টিকর খাবার, যেমন বাদাম, ফল, শাকসবজি, মাছ ও পূর্ণ শস্য, স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধিতে সহায়ক। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিনযুক্ত খাবার মানসিক স্বচ্ছতা বজায় রাখে এবং দীর্ঘমেয়াদে মস্তিষ্কের সুস্থতা নিশ্চিত করে।


৫. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা
স্মৃতিশক্তি সংরক্ষণ এবং মানসিক কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম (৭-৯ ঘণ্টা) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


৬. নতুন দক্ষতা শিখা
নতুন ভাষা শেখা, বাদ্যযন্ত্র বাজানো বা অন্য কোনো নতুন দক্ষতা অর্জন মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং নিউরোপ্লাস্টিসিটি উন্নত করে।

৭. মনোযোগ ও ধ্যানের চর্চা করা
মাইন্ডফুলনেস ও মেডিটেশন ফোকাস বাড়াতে, মানসিক চাপ কমাতে এবং মস্তিষ্ককে স্পষ্টভাবে চিন্তা করতে সাহায্য করে।

৮. সামাজিক যোগাযোগ বজায় রাখা
বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করলে চিন্তাভাবনার গভীরতা বাড়ে এবং নতুন জ্ঞান অর্জনের সুযোগ তৈরি হয়।

৯. সংগঠিত থাকা
পরিবেশ ও কাজকর্ম গোছানো থাকলে মানসিক চাপ কমে এবং কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

১০. লক্ষ্য নির্ধারণ করা ও তার দিকে কাজ করা
ব্যক্তিগত ও পেশাগত লক্ষ্য নির্ধারণ এবং সে অনুযায়ী কাজ করলে অনুপ্রেরণা ও ফোকাস বজায় থাকে, যা মানসিক দক্ষতা উন্নত করতে সাহায্য করে।