ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’, দূষণ নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট
শীত এলেই ঢাকার বাতাসে বাড়তে থাকে দূষণের মাত্রা; আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) বলছে, শনিবার ছুটির দিনও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে আছে।
শনিবার বেলা আড়াইটায় ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ১৮০। বাতাসে দূষণের মাত্রার দিক দিয়ে ওই সময় বিশ্বে ঢাকার অবস্থান ছিল ৬ নম্বরে।
শুক্রবার রাত ১টায় ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ২০৭, ওই অবস্থা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’।
বাতাসের মান নির্ভর করে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ (পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম-১০) এবং অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণের (পিএম ২.৫) ওপর, যা পরিমাপ করা হয় প্রতি ঘনমিটারে মাইক্রোগ্রাম (পার্টস পার মিলিয়ন-পিপিএম) এককে।
দূষণের মাত্রা বুঝতে পিএম ২.৫, পিএম ১০ ছাড়াও সালফার ডাই অক্সাইড, কার্বন মনো-অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড ও গ্রাউন্ড লেভেল ওজোনে সৃষ্ট বায়ুদূষণ বিবেচনা করে তৈরি করা হয় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।
শীত বা শুকনো মৌসুমে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশেই বায়ুরমানের অবনতি হয়। নির্মাণ কাজের জন্য বালু, সিমেন্ট পরিবহন, ইটভাটা সচল থাকা ও ফিটনেসহীন যানবাহনের ধোঁয়ায় বায়ু দূষিত হয় বেশি।
পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান ব্যবস্থাপনা শাখার উপপরিচালক মোহাম্মাদ আব্দুল মোতালিব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বায়ুর মান উন্নয়ন কোনো একক মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সম্ভব নয়। প্রয়োজন সামগ্রিক প্রচেষ্টা।
“পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে টাক্সফোর্স পরিচালিত হচ্ছে দূষণ রোধে। অতীতের মত ১০-১৫টি মোবাইল কোর্ট চলছে সারা দেশে, প্রতিদিনই জরিমানা করার পাশাপাশি চলছে সচেতনতামূলক প্রচার।”